জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এগিয়ে আমিরাত, সৌদি ও কাতার

সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও কাতার জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণে উপসাগরীয় অঞ্চলে এগিয়ে রয়েছে। যদিও তাদের তেল ও গ্যাস রফতানির ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে।

কুয়েতের বেসরকারি সংস্থা এজিলিটি ও জেনেভা-ভিত্তিক হরাইজন গ্রুপ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। খবর দ্য ন্যাশনাল নিউজ।

কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

আরব বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটি মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মধ্যে টেকসই অবকাঠামো, পরিবহন, শক্তির রূপান্তর ও বাস্তুতন্ত্রে পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে।

কাতার বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানিকারকদের মধ্যে একটি। পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির পাশাপাশি সুশাসনের জন্য শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।

আরব বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব। সূচকের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ খাতের মধ্যে পাঁচটিতে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে।

এ সূচকগুলো ১৭টি দেশের টেকসই পরিবেশ, সরকারি নীতি ও বেসরকারি খাতের ভূমিকা পর্যালোচনা করেছে।

টেকসই উন্নয়নকাজ অপেক্ষাকৃতভাবে”দেরিতে শুরু করা দেশগুলোকেও প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ দেশগুলো টেকসই কৌশল, কর্মসূচি ও বিনিয়োগ বাস্তবায়নে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

বেসরকারি সংস্থা অ্যাজিলিটির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক সুলতান বলেন, ‘আমরা জানতে চাই, ‌মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় সরকার ও বেসরকারি কোম্পানিগুলো কোন কোন বিষয় অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের লড়াইয়ে তাদের অবস্থান ঠিক কোথায়। আমরা চাইলেই অবকাঠামো, পরিবহন, জ্বালানি ও সরবরাহ চেইনের পরিবেশগত প্রভাব হ্রাস করতে পারি।’

প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে বাহরাইন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ ব্যবহারে দক্ষতা দেখিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। একই ক্ষেত্রে নৈপুণ্য দেখিয়ে ওমান ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। পরিবেশগত বাস্তুতন্ত্রে কুয়েত পঞ্চম। এখানকার জীববৈচিত্র্যসহ বাতাস, মাটি ও পানির দূষণ পরীক্ষা করা হয়েছে।

কাতার এয়ারওয়েজে চাকরির খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন

হাইড্রোকার্বন রফতানি থেকে দূরে থাকার জন্য উপসাগরীয় দেশগুলো নবায়নযোগ্য শক্তি ও টেকসই উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ করছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। সৌর, বায়ু ও পারমাণবিকসহ স্বচ্ছ জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার কমিয়েছে।

সম্প্রতি আবুধাবি দুই গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আল-ধাফরা সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি। এখান থেকে দুই লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

রাজধানী আমিরাতের কার্বনডাই-অক্সাইড নিঃসরণ বছরে ২৪ লাখ টনের বেশি কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ প্রকল্প আবুধাবি ন্যাশনাল এনার্জি কোম্পানি বাস্তবায়ন করেছে। যৌথভাবে এ প্রকল্পে সহায়তা করেছে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি কোম্পানি মাসদার, ফ্রান্সের নবায়নযোগ্য ইডিএফ ও চীনের জিংকো পাওয়ার।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

দুবাইয়ে আরেকটি পাঁচ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মোহাম্মদ বিন রশিদ সোলার পার্ক নির্মাণ করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এটি স্থাপন করা গেলে বছরে ৬৫ লাখ টন কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করা সম্ভব।

ওপেক অঞ্চলে শীর্ষ জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী সৌদি আরব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। দেশটি কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করা এবং জ্বালানি তেলের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে চাইছে।

আরও জানতে দেখুন

বণিকবার্তা

Loading...
,