বিএমইটির ছাড়পত্র জটিলতায় ভোগান্তিতে প্রবাসীরা

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র জটিলতায় ভোগান্তিতে প্রবাসীরা। বিশেষ করে যারা ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক, তাদের দূতাবাসের সত্যায়ন পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এতে ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শ্রমবাজারেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংকট সমাধানে প্রবাসী কল্যাণ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় খুবই জরুরি।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

কর্মসংস্থান ভিসায় বিদেশ যাওয়ার অন্যতম শর্ত বিএমইটির ছাড়পত্র। এতে গন্তব্য দেশের কর্মস্থান সম্পর্কে অনেকটা নিশ্চিত হওয়া যায়। ঠেকানো যায় মানবপাচার।

ছাড়পত্র পেতে চাহিদাপত্রে সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের সত্যায়ন নিতে হয়। তবে আগে সত্যায়ন ছাড়াই ছাড়পত্র মিললেও বর্তমানে এ নিয়মে কঠোর বিএমইটি। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো জানিয়েছে, কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই সত্যায়নের নিয়ম চালু হওয়ায় আগের ভিসায় বিদেশযাত্রায় অনিশ্চয়তায় পড়তে হচ্ছে।

রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মকর্তারা বলছেন, আড়াই থেকে তিন মাস হয়ে গেলেও বিভিন্ন অজুহাতে বিশেষ করে রোমানিয়ার ক্ষেত্রে বিএমইটির স্মার্ট কার্ড পাওয়া যাচ্ছে না। দলগত ভিসার যে পদ্ধতি সেটা অনেক দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। এক্ষেত্রে দূতাবাস থেকে সত্যায়ন করে এনে তারপর মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিয়ে পরবর্তী কাজগুলো করার জন্য বলছে সরকার।

কাতারের সব আপডেট পেতে যুক্ত হোন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে

এ বিষয়ে বিএমইটির মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর জানান, কোনো কোনো দূতাবাসের সাহায্য করার মানসিকতা নেই। গোটা পদ্ধতি ডিজিটালাইজড হওয়া দরকার।

জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ছাড়পত্র সংকটে হুমকির মুখে শ্রমবাজার। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘কর্মীরা যদি তাদের ভিসা সংগ্রহ করে আইনি জটিলতার কারণে আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পায়, তাহলে এটা আমাদের জন্য ক্ষতিকর হবে।’

বিএমইটির ছাড়পত্র সংকটে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দূতাবাসগুলোর সমন্বয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বলেন, সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা দরকার। বিশেষ করে ইউরোপের শ্রমবাজার সম্পর্কে।

কেননা সেখানে স্বল্প সময়ের জন্য অভিবাসন হয়। মৌসুমি অভিবাসনের জন্য অভিবাসীদের প্রস্তুত করতে হবে। বিশেষ করে তাদের অভিবাসন ব্যয় কমাতে হয়। এখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে যুক্ত হতে হবে।

ছাড়পত্র বিষয়ে বিএমইটির পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা থাকা জরুরি বলেও মনে করছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।

আরো পড়ুন

itv

Loading...
,