অপূর্বর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শাম্মা দেওয়ানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
অপূর্ব তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমার সমস্ত ভক্ত, দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি আমার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছি।
শাম্মা দেওয়ান আমার স্ত্রী, তাকে নিয়েই আমার এই যাত্রা। আমার এই নতুন জীবনের শুরুতে আপনাদের ভালোবাসা আমাকে আপ্লুত করেছে।’
অপূর্ব’র প্রাক্তন স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতি তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে বলেন—‘চার বছরের প্রেম সফল হলো, মাশাআল্লাহ্! নব বিবাহিতদের জন্য শুভ কামনা।’ এতে কারো নাম উল্লেখ করেননি নাজিয়া।
ঠিক কাকে উদ্দেশ্য করে এই শুভেচ্ছা বার্তা দেন তাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ! তবে নেটিজেনদের ভাষ্য—‘এটি অপূর্বকে উদ্দেশ্য করেই লিখেন নাজিয়া।’
‘চার বছরের প্রেম সফল হলো’—নাজিয়ার এটুকু বক্তব্য নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। নেটিজেনদের বক্তব্য, শাম্মার (অপূর্বর বর্তমান স্ত্রী) সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর কারণেই বিচ্ছেদ হয়েছে নাজিয়া-অপূর্বর। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমও এমন ইঙ্গিত দেয়। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
শাম্মার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের তথ্যটি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অপূর্ব। এই অভিনেতা বলেন, ‘আমার এবং শাম্মার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কিছু কিছু অমূলক মন্তব্য আমার নজরে এসেছে যা সম্পূর্ণরূপে অসত্য ও ভিত্তিহীন।’
অপূর্বর প্রাক্তন স্ত্রী চলতি বছরের শুরুতে মাহবুব পারভেজ নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়েও শুরু হয় আলোচনা। কেউ কেউ দাবি করেন, পারভেজের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ানোর কারণে অপূর্বর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে তার। এসব তথ্য সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন অপূর্ব।
তার ভাষায়—‘খুবই দুঃখের সাথে লক্ষ্য করেছি, আয়াশের মায়ের নতুন জীবনের সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই তাকে অপবাদ দিয়েছেন এই বলে যে, তিনি নাকি পরকীয়া করে বিয়ে করেছেন। এটি নিশ্চিত করে বলতে চাই যে, এই ধরনের তথ্য একেবারেই মিথ্যা।’
নাজিয়া হাসানের সঙ্গে অপূর্বর বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত একান্তই তাদের। এ বিষয়ে অপূর্ব বলেন, ‘আমার এবং আয়াশের মায়ের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়েছে ২০১৯ সালে, যদিও তা গণমাধ্যমে পরে প্রকাশিত হয়েছে।
খুব স্বাভাবিকভাবে আমরা এই বিষাদময় অধ্যায়ের পর সময় নিয়েছি, ভেবেছি এবং নিজ নিজ পরিবারের সাথে আলাপেও গিয়েছি। আমরা দু’জনই প্রাপ্তবয়স্ক। আমরা একজন আরেকজনের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেই নিজেদের জীবনের পথ বেছে নিয়েছি।’
