অর্থমন্ত্রণালয়ের বিধিনিষেধে বন্ডে বিনিয়োগ কমছে প্রবাসীদের

অর্থমন্ত্রণালয়ের নানা বিধিনিষেধে বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারছেন না প্রবাসীরা। ফলে উপার্জিত অর্থ অনেকেই দেশে আনছেন না। আবার অনেকে বিনিয়োগ করছেন তৃতীয় কোনো দেশে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবাসীদের জন্য নির্ধারিত তিন ধরনের বন্ডে বিনিয়োগে বিধিনিষেধ তুলে নিলে দেশে ডলার সরবরাহ বাড়বে।

কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

সৌদি প্রবাসী এই চিকিৎসক মো. আনিসুজ্জামান ব্যাংকে এসেছেন ওয়েজ আর্নার বন্ড নবায়নে। আগে প্রবাসীরা এ খাতে সামর্থমতো বিনিয়োগ করতেন। ২০২১ সালের নভেম্বরে বিক্রিসীমা কমিয়ে এক কোটি টাকা করা হয়।

ওই সৌদি প্রবাসী চিকিৎসক বলেন, ‘এক কোটি টাকা দেওয়ার পরে আমরা রিইনভেস্ট করতে পারছি না আর আমাদের যদি কিছু টাকা বাঁচে সেটা আমরা কোথায় ইনভেস্ট করবো। বাংলাদেশে এমন কোনো জায়গা দেখি না যেখানে নিরাপত্তাবোধ করি।’

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

প্রবাসীর যদি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ থাকে তাও যুক্ত হবে এক কোটি টাকার হিসাবে। ফলে সামর্থ থাকলেও এ বন্ডে বিনিয়োগ বাড়াতে পারছেন না অনেকে। আবার টাকার মান ব্যাপকভাবে কমায় এক কোটি টাকায় ডলারের পরিমাণও কমেছে।

এদিকে, বিদেশি জাহাজে উচ্চ বেতনে কাজ করেন ১৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি। কয়েক দশক ধরে তারা ওয়েজ আর্নার বন্ডে বিনিয়োগ করছিলেন। ২০২০ সালে এ সুবিধা বাতিল করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।

মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশনের সদস্য কাজী মো. আবু সাইদ জানান, বিনিয়োগ সুবিধা বাতিল হওয়ায় চার বছরে মেরিনাররা বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন একশ ষাট কোটি ডলার। নেতারা জানান, ইউএস ডলার বন্ড ও প্রিমিয়াম বন্ডেও বিনিয়োগ করতে পারছেন না তারা।

দেশে প্রবাসীদের জন্য চালু আছে তিনটি বন্ড। ওয়েজ আর্নার, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট ও প্রিমিয়াম বন্ড। ব্যাংকাররা জানান, দেশের একাউন্ট দিয়েই ওয়েজ আর্নার বন্ড কেনা যায়।

বাকি দুটির জন্য দরকার ফরেন কারেন্সি একাউন্ট। যা বিদেশ থেকে খোলা সহজ নয়।

সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মো. জহুরুল ইসলাম জানান, চার বছরে বিভিন্ন বন্ডের বিক্রি নেমেছে অর্ধেকের নিচে।

কাতার এয়ারওয়েজে চাকরির খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন

সংশ্লিষ্টদের মতে, দ্রুত এসব বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিলে বাড়বে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

আরও দেখুন

INDEPENDENT

Loading...
,