আল-জাজিরার লাগাম টানতে বলছে যুক্তরাষ্ট্র

আল-জাজিরার লাগাম টেনে ধরতে কাতারের সরকারের সঙ্গে কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ কথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

গত সোমবার তিনি ইহুদি সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার সময় জানান যে, তিনি কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে গাজায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে আল-জাজিরার কার্যক্রমের লাগাম টেনে ধরতে বলেছেন। ওই সভায় উপস্থিত থাকা ভিন্ন তিন ব্যক্তির বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে অ্যাক্সিওস।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরির খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন

বুধবার (২৫ অক্টোবর) প্রকাশিত অ্যাক্সিওসের ওই রিপোর্টটি নিয়ে এরইমধ্যে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা দেখা যাচ্ছে।

তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন বিশ্বজুড়ে স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের পক্ষে সওয়াল করে বেড়ায়। কিন্তু তারা এখন ‘উদ্বিগ্ন’ যে, আল-জাজিরা যেভাবে গাজা যুদ্ধ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে তা এ অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করবে।

এর আগে, ১৩ অক্টোবর কাতার সফরে যান ব্লিঙ্কেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সফরের সময়ই তিনি কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আল-জাজিরা ইস্যুতে কথা বলেন।

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

তিনি কাতার সরকারকে হামাসের সঙ্গে তাদের প্রকাশ্য সম্পর্কের বিষয়টিতে পরিবর্তন আনতে বলেন। সেটি কীভাবে করা যাবে তার উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি কাতার সরকারকে আল-জাজিরার লাগাম টেনে ধরতে বলেন। কারণ আল-জাজিরা ইসরাইলবিরোধী উসকানিতে ভরা খবর প্রকাশ করে।

প্রসঙ্গত, আল-জাজিরা স্বাধীনভাবে পরিচালিত হলেও এর অর্থায়ন করে কাতার সরকার। সমালোচকদের দাবি, গণমাধ্যমটির মাধ্যমে নিজের পররাষ্ট্রনীতি প্রতিফলিত করে কাতার। হামাসের সঙ্গে কাতারের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। গত ৭ই অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ কারণে কাতারের ওপর চাপ বাড়তে শুরু করেছে।

ইসরায়েল বারবার অভিযোগ করেছে যে, আল-জাজিরা হামাসের ‘প্রোপাগান্ডা মাউথপিস’ হয়ে কাজ করছে। এ নিয়ে আল-জাজিরার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

আরও পড়ুন:

Loading...
,