উইজ’কে বিমান পরিচালনার অনুমতি না দিতে ক্যাবকে আইনি নোটিশ

সব অংশীজনকে পাশ কাটিয়ে বিদেশি মালিকানাধীন লো-কস্ট বিমান সংস্থা উইজ এয়ারকে বিমান পরিচালনার অনুমতি না দেওয়ার জন্য আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সিভিল এভিয়েশন অথরিটি বাংলাদেশকে (ক্যাব), বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সচিব এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইলন্স কর্তৃপক্ষকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

সোমবার (১৫ মে) বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসেনের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল এই নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, দেশের চলমান বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন বিদেশি এয়ারলাইন্স, শিপিং কোম্পানিসহ নানান সেবামূলক খাতে সংকট বেড়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তির আওতায় উভয় দেশের বিমান সংস্থাগুলোর সপ্তাহে ১৪০টি করে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি রয়েছে।

 কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান সংস্থাগুলো সপ্তাহে ১২০টির মতো ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকলেও বাংলাদেশের বিমান সংস্থাগুলো সপ্তাহে ৬০-৭০টির মতো ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

তবে নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ বিমান ও ইউএস বাংলা নতুন করে এয়ারক্রাফট কেনার চুক্তি করেছে।

‘এমতাবস্থায়, আবুধাবিতে গঠিত বিমান সংস্থা উইজ এয়ারকে নতুন করে বিমান পরিচালনার সুযোগ করে দিলে বাংলাদেশি বিমান সংস্থাগুলো মুখ থুবড়ে পড়বে।

ইতোমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের প্রভাবে বিভিন্ন স্বনামধন্য এয়ারলাইন্স কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের সেবা সীমিত করেছে এবং এই সংকট চলমান থাকলে এই খাতে ব্যবসা পরিচলনা করা প্রায় কঠিন হয়ে পড়বে।’

‘বর্তমানে রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ বিমান এবং বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো নিয়মিত বিমান পরিচালনা করছে।’

‘বিদেশি কোম্পানিগুলোর কাছে অর্থ প্রেরণ করতে না পারায় অনেক এয়ারলাইন্স তাদের বিমান পরিচালনা সীমিত করেছে। সিঙ্গাপুর, টার্কিশ, কাতার, সৌদিসহ অনেক নামিদামি এয়ারলাইন্স তাদের ফ্ল্যাইট সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে।’

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, নতুন এয়ারলাইন্সের অনুমোদন দিলে বর্তমান ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্সগুলো প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়বে।

বিশেষ করে উইজ এয়ার লো-কস্ট (কম খরচে) এয়ার লাইন্স হওয়ায় সব ফ্লাইট পরিচালনাকারী বিমানের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়বে।

এতে বাংলাদেশে বিদ্যমান সব এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো পথে বসে যাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে চরম হুমকির মধ্যে পড়বে।

এ অবস্থায় বর্তমান ফ্লাইট পরিচালনাকারীরা ক্ষতির মুখে পড়লে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের সহায়তা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন

BanglaTribune

Loading...
,