একাধিক জটিল রোগের কারণ চিনি! না খেলে কী লাভ তাও জানুন

বাঙালি উৎসবপ্রিয় জাতি। এ দেশে যেকোনো উৎসবে আর কিছু থাকুক না থাকুক, মিষ্টির কয়েক পদ থাকবেই। আর মিষ্টি মানেই তো চিনির বহর। তবে চিনি সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় চা-এর সঙ্গে। এমন অনেকে আছেন যারা রং চা হোক বা দুধ চা, সঙ্গে তিন-চার চামচ চিনি না মেশালে মুখেই তুলতে পারেন না সেই চা।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরির খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন

কিন্তু এভাবে দিনের পর দিন চিনি খেয়ে খেয়ে শরীরের যে কী বারোটা বাজাচ্ছেন, তা জানলে চমকে উঠবেন। শুধুমাত্র চিনি খাওয়ার কারণেই পিছু নেয় ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের মতো প্রাণঘাতী সব অসুখ। বেড়ে যায় ওজন। এমনকি, চিনি মরণব্যাধি ক্যানসারেরও কারণ হতে পারে!

কিন্তু যদি এর উল্টোটা করেন? যদি মাত্র একটি মাস চিনির ধারে কাছেও না যান, কী হবে তাতে? সেটি জানলেও চোখ উঠবে কপালে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক মাসের জন্য ডায়েট থেকে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় যেকোনো খাবার বাদ দিলেই শরীরে একাধিক বদল আসবে। কমাতে পারবেন জটিল সব রোগের ঝুঁকি।

চলুন তবে আর দেরি না করে চিনি না খাওয়ার উপকারী দিকগুলো সম্পর্কে জেনে নিই। তারপর দেখবেন আপনিও শুধু এক মাস নয়, আজীবনের জন্য চিনিকে ডায়েট থেকে ছেঁটে ফেলবেন।

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

ওজন কমার পথে বাঁধা থাকবে না

বিভিন্ন উৎসবে প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি খেয়ে অনেকেরই মাত্র কয়েক দিনেই তিন-চার কেজি ওজন বেড়ে যায়। কীভাবে ওজন কমাবেন, সেই চিন্তাই তখন তাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়।

এর সহজ সমাধান হলো, মাত্র একটি মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে দেখুন। মিষ্টি জাতীয় খাবার ও চিনি খেলে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি যায়। এটিই হলো ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। চিনি খাওয়া বন্ধ করলে ওজন আপনা আপনিও কমতে থাকবে।

তবে এদিকে চিনি খাওয়া বন্ধ করে ওদিকে আবার তেল-মশলা জাতীয় খাবার দিয়ে পেট ভরবেন না যেন। দুদিকেই থাকতে হবে সচেতন। কারণ, অতিরিক্ত তেল-মশলার খাবার এবং রাস্তা এবং রেস্টুরেন্টের ফাস্টফুডও ওজন বৃদ্ধির মূল কারণ।

অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে

অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। এর ফলেও পিছু নেয় উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হার্ট অ্যাটাকের মতো জটিল রোগ। হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো বিরক্তিকর সমস্যাও। চিনি শরীরে না ঢুকলে কিন্তু ঘুম ভালো হয়। তাই রাতে শান্তি মতো ঘুমাতে চাইলে চিনি খাওয়া ছাড়ুন আজই।

ক্লান্তি দূর হয়ে শরীরে আসবে ফূর্তি

অনেক সময় কাজের প্রতি অনীহা আসে। শরীরে শক্তির অভাব হয়। অল্পতেই শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অথচ আপনি কিন্তু তেমন কোনো পরিশ্রমের কাজই করেননি। অতিরিক্ত চিনি শরীরে ঢুকলেই এমনটা হয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেখুন শরীরে স্ফূর্তি বাড়বে। কর্মক্ষমতাও বাড়বে।

হার্টের রোগের ঝুঁকি কমে

হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ে বেশি বেশি চিনি খেলে। এদিকে, দুপুরে খাওয়ার পর নিয়মিত মিষ্টি মুখে তুলছেন, ওদিকে আবার চা-এর সঙ্গেও খাচ্ছেন মুঠো মুঠো চিনি। এই অভ্যাসই বাড়িয়ে দেয় হার্টের রোগের ঝুঁকি। এই ঝুঁকি কমাতে চাইলে অন্তত এক মাস চিনি খাওয়া ছাড়ুন। তাহলেই পার্থক্য টের পাবেন আপনিই।

কমে বাতের ব্যথা

এ দেশে বাতবাতাসের ব্যথা কষ্ট পান অনেকেই। বিশেষ করে, বয়স ৫০-এর কোঠা পেরোলেই এই সমস্যা এসে ঘিরে ধরে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চিনি খেলেই গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়ে। তাই যাদের বাতের ব্যথা আছে, তারা এক মাস চিনি না খেলেই তফাত বুঝতে পারবেন হাতেনাতে।

কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

আরও পড়ুন:

Loading...
,