এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ বেড়েছে ৫১ কোটি ডলার

গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দিনের শুরুতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ হিসাবে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। আর ‘গ্রস’ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

আগের সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। ‘গ্রস’ হিসাবে ছিল ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ বেড়েছে ৫১ কোটি ডলার। ‘গ্রস’ হিসাবে বেড়েছে ৪৯ কোটি ডলার।

রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বাড়ায় রিজার্ভ বেড়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে বর্তমান বিশ্ব পেক্ষাপটে এই রিজার্ভ সন্তোষজনক নয় বলে জানিয়েছেন তারা।

মার্চ শেষে বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। ‘গ্রস’ হিসাবে ছিল ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

কাতারের সব আপডেট পেতে যুক্ত হোন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে

তবে আইএমএফের চাওয়া শুধু নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ কত, সেটি। দেশে ডলার-সংকটের মধ্যে আর্থিক হিসাব ও চলতি হিসাবে ঘাটতি হওয়ায় ২০২২ সালের জুলাইয়ে আইএমএফের কাছে ঋণ চায় বাংলাদেশ। ছয় মাস পর সংস্থাটি গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে।

২ ফেব্রুয়ারি ঋণের প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ও ডিসেম্বর মাসে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফের নতুন শর্ত অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের প্রকৃত রিজার্ভ রাখার কথা ছিল ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া চলতি বছরের মার্চে তা ১৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী জুন মাস শেষে ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে বলা হয়। তবে ডিসেম্বর ও মার্চের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি সরকার।

এদিকে রিজার্ভ বাড়াতে গত দেড় মাসে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার অদল-বদল (সোয়াপ) করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে মোট রিজার্ভ বাড়লেও প্রকৃত রিজার্ভ বাড়েনি। কারণ, এই রিজার্ভ দায়হীন নয়।

তবে সোয়াপ-সুবিধা চালুর ফলে ব্যাংকগুলোর টাকার সংকট কিছুটা দূর হয়েছে, আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও মোট রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স বাড়ায় রিজার্ভ বাড়ছে। এখন রিজার্ভ বাড়তির দিকেই থাকবে।

এছাড়া আগের মতো শর্ত মানা নিয়ে আইএমএফের কড়াকড়ি নেই। তারা দেখতে চায়, বাংলাদেশ আর্থিক সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করছে কি না। আমরা চেষ্টা করছি, সংকট অনেকটা কেটে গেছে। শর্ত পূরণ না হলেও তারা ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড় করবে।

এদিকে দুই বছর ধরে চলা ডলার-সংকট এখনো কাটেনি। ব্যাংকে প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কেনায় ডলারের দাম এখন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা; কিন্তু ব্যাংকগুলো ১১৪-১১৫ টাকা দামে ডলার কিনছে।

গত বছরের ১২ জুলাই থেকে আইএমএফের কথামতো রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ‘গ্রস’ হিসাবের পাশাপাশি বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুসরণ করেও রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে।

ওই দিন ‘গ্রস’হিসাবে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ হিসাবে ছিল ২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার।

আরো পড়ুন

Dainikbangla

Loading...
,