এমটিএফই অ্যাপসের ফাঁদে সর্বহারা প্রবাসী বাংলাদেশিরা

ক্রিপ্টো ট্রেডিংয়ের কথা বলে বিদেশি অ্যাপস এমটিএফই মাধ্যমে ডলার বিনিয়োগ করে সর্বহারা কুয়েতে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি।
দুই সপ্তাহ ধরে আর্থিক লেনদেন প্রক্রিয়া বন্ধ হলে গ্রাহকদের মধ্যে দেখা দেয় হতাশা। পরিশ্রম ছাড়া প্রতিদিন ডলার আয়ের লোভে পড়ে প্রবাসে নিজের কষ্টের আয়ের টাকা বিনিয়োগ করে দিশেহারা অনেক কুয়েত প্রবাসী।
কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুয়েত প্রবাসী এক ভুক্তভোগী জানান, কুয়েতের কয়েকজন সিইও হয়েছে।
আব্দুর রহমান ও মাসুম বিল্লাহসহ আরও কয়েক জনের আন্ডারে কুয়েতে প্রায় ১০ হাজারের মতো বাংলাদেশি এমটিএফই সদস্য হয়েছে এবং ডলার বিনিয়োগ করেছে ফরওয়ানিয়া, জাহারা ও কুয়েত সিটির মুরগাব এদের অফিস ছিল।
গ্রাহকদের কাজ থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা কমিশন পেত। কোম্পানিতে থেকে প্রতি মাসে তাদের বেতন ও অফিস খরচ দেওয়া হতো।
লোভে পড়ে ধরা খেয়েছে আমাদের মতো সাধারণ প্রবাসীরা। আমি ওভারটাইম করে যে টাকা পেতাম সেই টাকা এখানে বিনিয়োগ করতাম।
কয়েক বার লাভের অংশটা তুলতে পারলেও মূলধনটা রয়ে গেছে। সুজন হাওলাদার নামে অপর এক প্রবাসী বলেন, আমি গত ১৫ দিন আগে টাকা তুলতে মেসেজ দিলেও টাকা ওঠাতে পারছি না।
কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন
পরে দেখি টাকা অ্যাকাউন্টে ফেরত আসছে। এখন অ্যাপস চালু করে ব্যালেন্সের আগে বিয়োগ চিহ্ন দেখাচ্ছে।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই টাকা পরিশোধ না করলে আমাদের নামে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে এমন মেসেজ আসছে। টাকাও গেল উলটো এখন ভয়ে আছি কোনো ঝামেলায় পড়তে হয়।
বাংলাদেশে থাকা এমটিএফই সিইও হওয়া মাসুম উদ্দিন নামে এক সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা করা হলে তিনি বলেন, ৩ মাস আমি নতুন কাউকে সদস্য করিনি।
কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
পুরোনো যারা ছিল তারা বেশিরভাগই তাদের মূলধন তুলে নিয়েছে, তবে পরবর্তী সময়ে নতুন যারা যুক্ত হয়েছে অন্যের মাধ্যমে তাদের লস হতে পারে।
আরও পড়ুন
যুগান্তর
