এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে।

আসন্ন এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এর ফলে চলতি মাসেই এশিয়া কাপ দিয়ে শুরু হবে পুরোনো পথের নতুন অধ্যায়। কেননা এই পথে সাকিব আগেও হেঁটেছেন।

কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

শুক্রবার দুপুরে গুলশানে নিজ বাসভবনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান এই সিদ্ধান্ত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

দেশের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি দলের নেতৃত্বে আগে থেকেই আছেন ৩৬ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।

তবে তিন সংস্করণেই সাকিব নেতৃত্ব দেবেন কি-না? এই সিদ্ধান্ত তার সঙ্গে আরও আলোচনা করে পরে নেয়া হবে বলে জানান বিসিবি সভাপতি।

সাকিবকে অধিনায়ক করা প্রসঙ্গে নাজমুল বলেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের জন্য সাকিবকে অধিনায়ক করা হয়েছে।

বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের দল শনিবার ঘোষণা করা হবে। আপাতত এশিয়া কাপের ১৭ জনের দল দেবেন নির্বাচকেরা। তামিম বিশ্বকাপে খেলবে কিনা আমি নিশ্চিত না।’

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

বোর্ড সভাপতি বলেন, ‍‍‘আমরা সাকিবকে নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তহীনতায় ছিলাম না। তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব কঠিন হতে পারে সাকিবের জন্য। তবে ও যদি পারে তাতে আমাদের সমস্যা নেই।’

এর আগে গত ৩ আগস্ট ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। এরপর থেকেই নতুন অধিনায়ক খুঁজছিল বিসিবি।

গত ৮ আগস্ট পরিচালকদের জরুরি সভাও ডাকা হয় এ ব্যাপারে। যদিও অধিনায়ক ঠিক করা ছাড়াই সে সভা শেষ হয়।

কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

এরপর সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নামই উচ্চারিত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে তামিমের অনুপস্থিতিতে এর মধ্যেই ৫টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেয়া লিটন দাসকে নিয়েও ছিল আলোচনা।

সম্ভাবনা খানিকটা ছিল মেহেদী হাসান মিরাজেরও। তবে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব আসরের মতো বড় মঞ্চে সাকিবের অভিজ্ঞতায়ই ভরসা রাখল বিসিবি।

সর্বশেষ ২০১৭ সালে এ সংস্করণে অধিনায়কত্ব করেছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, এরপর ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব ছিল তার।

বাংলাদেশকে এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৫০টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। এর মধ্যে ২৩ ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ। পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে ২৬ ম্যাচ।

তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জয়ের হার ৪৬ শতাংশ। জয়ের সংখ্যায় সাকিবের ওপরে আছেন হাবিবুল বাশার ও মাশরাফি।

হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে ২৯ ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। মাশরাফি জিতিয়েছেন ৫০টি। জয়ের শতকরা হার বিবেচনা করলে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কদের মধ্যে সাকিব থাকবে তিনে।

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

দলকে ৫৬ দশমিক ৮১ শতাংশ ম্যাচ জিতিয়ে শীর্ষে থাকবেন মাশরাফি। দুইয়ে থাকা তামিম ইকবাল জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ৫৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ ম্যাচে।

আরও পড়ুন

গালফ বাংলা

Loading...
,