কম বাজেটের দর্শকদের জন্য কাতারের সাশ্রয়ী কমপ্লেক্স
বিশ্বকাপ উপলক্ষে লাখো মানুষের গন্তব্যে পরিণত হয়েছে কাতার। ফুটবলপ্রেমীদের আবাসনের জন্য আয়োজনে কমতি রাখেনি আরব দেশটিও।
নির্মিত হয়েছে হোটেল, মোটেল, অ্যাপার্টমেন্ট, বিলাসবহুল ক্যাম্প ও প্রমোদতরী। তবে হাজারো আনন্দের মধ্যেও পকেটের দিকটাতেও বিবেচনায় রাখতে হয় কারো কারো।
কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
তেমন অতিথিদের সাশ্রয়ের কথা বিবেচনা করেই মরুভূমির একপ্রান্তে তৈরি করা হয়েছে বারওয়া বারাহাত আল জানুব কমপ্লেক্স।
এখান থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী স্টেডিয়াম বাস বা মেট্রোযোগে দুই ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। কাতারের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এ কমপ্লেক্সে প্রতি রাত্রী যাপনের খরচ মাত্র ৮৪ ডলার।
এখানে ক্লিক করুন এবং পছন্দের চাকরি বেছে নিন
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আল-ওয়াকরাহ শহরের দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত বারওয়া বারাহাত কমপ্লেক্স। ঐতিহ্যবাহী আরবীয় রীতিতে নির্মিত স্থাপনা।
টুইন কিংবা ডাবল বেড কক্ষের পাশেই শাওয়ারসহ বাথরুম। প্রতি ফ্লোরে পাশাপাশি চারটি অ্যাপার্টমেন্টের জন্য একটি ফ্রিজ।
স্টিলের বিছানা, ধাতব লকার, ফ্লোরেসেন্ট লাইট এবং টাইলস করা মেঝে। কিছু দেয়াল ফুটবল বিষয়ক বিভিন্ন ম্যুরল দিয়ে সাজানো।
তিন তলা বিশিষ্ট ১ হাজার ৪০৪টি ক্লাস্টার নিয়ে নির্মিত কমপ্লেক্সটি নির্মিত হয়েছে মূলত কাতারে বসবাসকারী ৬৭ হাজার নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের জন্য।
বিশ্বকাপের মৌসুম শেষ হলেই তারা এখানে উঠবে। তার আগে স্বল্প বাজেট নিয়ে আসা অতিথিদের দেয়া হচ্ছে সাধ্যের মধ্যে আবাসনের যোগান।
বিদেশ বিভুঁইয়ে বসবাসের এমন সাশ্রয়ী ব্যবস্থায় উচ্ছ্বাসিত ফুটবল ভক্তরা। আকাশছোঁয়া দ্রব্যমূল্যের সময়ে এটি তাদের কাছে আশির্বাদের মতো।
দোহার কাছাকাছি পূর্বসজ্জিত কেবিনগুলোতে প্রতি রাতে ভাড়া বাবদ ২০০ ডলার গুনতে হয়। অন্যদিকে শেয়ার্ড অ্যাপার্টমেন্টে কক্ষ ভাড়া দেয়ার জন্য এয়ারবিএনবিতে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে ৫০০ ডলারের।
ক্রুজশিপে রাত্রিযাপনের খরচ তো হাজার ডলারেরও উপরে। বারওয়া বারাহাত সেইদিক থেকে অনেক সাশ্রয়ী।
জীবনে প্রথমবারের মতো সরাসরি বিশ্বকাপ দেখতে এসেছেন ভারতের সন্দিপন ভৌমিক। রাত্রিযাপনের খরচ ব্রিটেনের এক রুমমেটের সঙ্গে ভাগ করে পরিশোধ করেন।
সেখানে আঠারো দিন অবস্থান করার মতো সামর্থ্য রয়েছে তার পকেটে। এ কমপ্লেক্স না হলে তার স্বপ্ন হয়তো অধরাই থাকতো।
তিনি বলেন, এখানে আসতে আমাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। গত দুই বছর ধরে আমি অর্থ জমিয়েছি।
আরও খবর পড়ুন
