কাতারসহ ১৫৭ দেশে ওষুধ রপ্তানি করে বাংলাদেশ

স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ ওষুধ উৎপাদনে সক্ষম ছিল। বাকি ৮০ শতাংশ ছিল আমদানিনির্ভর। বর্তমানে ওষুধের মোট চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। পাশাপাশি নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে পৃথিবীর ১৫৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরির খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন
রবিবার (২৯ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ সারা বিশ্বের ১৫৭টি দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রায় সব ধরনের ওষুধ রপ্তানি করা হয়ে থাকে। চলতি অর্থ বছরের (২০২৩-২০২৪) সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ৩৫৫ কোটি ৫১ লাখ ৮২ হাজার ৬৩ টাকার ওষুধ রপ্তানি করা হয়েছে।
কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন
দামে কম, মানেও ভালো
হাডসন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান বলেন, এ শিল্পের অগ্রগতি এখন গর্ব করার মতো। বাংলাদেশ শুধু নিজেদের ওষুধ নিজেরাই উৎপাদন করে না বরং বিশ্বের শতাধিক দেশে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ওষুধ রপ্তানি করে। অথচ স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আমরা ৭০ শতাংশ ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করতাম। এখন দেশের চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মানসম্মত ওষুধ রপ্তানি করছে।
কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন
বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি ওষুধের চাহিদা কেমন— জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশি ওষুধের চাহিদা একেক দেশে একেক রকম। আমাদের সবচেয়ে বেশি ওষুধ রপ্তানি হয় আমেরিকায়। সেখানে ওষুধের দামও বেশি, আবার মার্কেটও বড়। সেক্ষেত্রে আমাদের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রটোকল মেনে ওষুধ উৎপাদন করতে হয়। বিশাল অঙ্কের ওষুধ শ্রীলঙ্কায়ও রপ্তানি হয়। দেশটিতে এখন অর্থনৈতিক দুঃসময় যাচ্ছে। এ অবস্থায় সরকার আমাদের বলেছে ১০ কোটি টাকার ওষুধ বিনামূল্যে দিতে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব তহবিল থেকে আরও ১০ কোটি টাকার ওষুধসহ সর্বমোট ২০ কোটি টাকার ওষুধ শ্রীলঙ্কাকে আমরা বিনামূল্যে দিয়েছি। দেশটিতে আমাদের ওষুধের ভালো মার্কেট রয়েছে।
কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন
দেশে শিগগিরই ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক আইয়ুব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের ওষুধ শিল্প এখন একটি মানসম্মত পর্যায়ে চলে এসেছে। ওষুধের মানও অনেক উন্নত হয়েছে। এখন আমাদের রপ্তানির দিকে নজর দিতে হবে। এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে আরও ১০ বছর বাংলাদেশ ওষুধ উৎপাদনে কপিরাইট বা মেধাস্বত্ব সুবিধা পাচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে কীভাবে ওষুধ শিল্পের আরও বিকাশ করা যায় সে বিষয়ে সরকারের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।
কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন
বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ যেসব দেশে রপ্তানি করা হয় সেগুলো হলো, যুক্তরাষ্ট্র, আফগানিস্তান,আজারবাইজান, ভুটান, কম্বোডিয়া, চীন, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, ইরান, জর্ডান, জাপান, কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার, মালয়েশিয়া, ম্যাকাও, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম, ইয়েমেন, তাইওয়ান, মালদ্বীপ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফিলিস্তিন, লেবানন, কুয়েত, কাতার, ওমান, উপসাগরীয় দেশসমূহ (জিসিসি), তুর্কমেনিস্তান কাজাকিস্তান, বাহরাইন, ব্রুনাই দারুস সালাম, দুখাই, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, হাঙ্গেরি, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মলদোভা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল রাশিয়া, রুমানিয়া, ফ্লোভেনিয়া, স্লোভাকিয়া, স্পেন, সুইজালা সর্বহা আয়ারল্যান, বুলগেরিয়া, মেসিডোনিয়া, বসনিয়া, সান মারিনো, আল ফাসো, বোতসোয়ানা, চাদ, মিশর, ইজিপ্ট, পাবন, কেনিয়া, লিবিয়া, লাইবেরিয়া লেসোথো, মরিশাস নাইজেরিয়া, মালাউই মালি সেনেগাল, সোমালিয়া, দক্ষিণ, ন, সোয়াজিল্যান্ড, সেনে তানজানিয়া, তিউনিসিয়া, টোগো, উপান্ডা, সিঁদুরেইন রিক্রিয়া, জামাইকা, লাওস মৌরিতানিয়া, সোমালি লাই, জাম্বিয়া, অ্যা, ই, ডা, মেক্সিকো, ডোমিনিকান প্রবচ হাইতি আর্জেন্টিনা, বেলিজ, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোপা-রিক মন্টিনিগ্রো, নিকারাগুয়া, পানামা, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, চোশা, ভেনেজুয়েলা জানু কুরাকাও, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে।
কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
আরও পড়ুন:
