কাতারের মধ্যস্থতায় বন্দী বিনিময়ের দ্বারপ্রান্তে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র

ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তির ক্ষেত্রে তেহরানের শর্ত অনুযায়ী আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে কাতারের ব্যাংকগুলোতে তেহরানের তহবিলে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জমা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
ওই অর্থের বিনিময়ে ইরানে আটক পাঁচজন মার্কিন দ্বৈত নাগরিককে মুক্তি দেবে তেহরান এবং একই সংখ্যক ইরানী বন্দীকে মুক্তি দেবে ওয়াশিংটন।
কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্দী বিনিময় আলোচনার সঙ্গে জড়িত আট ব্যক্তি এবং অন্যান্য সূত্র রয়টার্সকে ওই খবর নিশ্চিত করেছে।
প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে ইরান গত ১০ আগস্ট তেহরানের এভিন কারাগার থেকে পাঁচ মার্কিন নাগরিককে বের করে গৃহবন্দি অবস্থায় রেখেছে।
সেই দিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ওই পদক্ষেপকে বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ বলে অভিহিত করেছিলেন।
ইরানে গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন ব্যবসায়ী সিয়ামক নামাজি, এমাদ শারকি এবং পরিবেশবাদী মোরাদ তাহবাজ।
গৃহবন্দী চতুর্থ এবং পঞ্চম জনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিশ্বস্ত দুটি সূত্র জানিয়েছে, ওই দুজনের একজন নারী।
কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন
দোহা দুই দেশের মধ্যে অন্তত আট দফা আলোচনার আয়োজন করেছে, যাতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচকরা কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।
পূর্ববর্তী আলোচনাগুলো প্রধানত পারমাণবিক ইস্যুতে হলেও পরে এটি বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে কেন্দ্রীভূত হয়।
এমন একটি আর্থিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে, যার অধীনে এটি ব্যাঙ্কিং ফি প্রদান করবে এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীনে বিষয়গুলোতে কোনও অর্থ ব্যয় না করা নিশ্চিত করতে ইরানকে পর্যবেক্ষণ করবে কাতার।
কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
দোহাভিত্তিক তিনটি সূত্র জানিয়েছে, বন্দিরা নিজ দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে কাতারকে ট্রানজিট হিসাবে ব্যবহার করবে।
এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, ‘ইরান প্রথমে তহবিলে সরাসরি প্রবেশাধিকার চেয়েছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তারা কাতারের মাধ্যমে প্রবেশাধিকারে রাজি হয়েছে।
ওই অর্থ দিয়ে ইরান খাদ্য ও ওষুধ কিনবে এবং কাতার সেক্ষেত্রে সরাসরি অর্থ প্রদান করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বন্দীদের মুক্তির সঠিক সময় ঘোষণা করতে প্রস্তুত নয়।
ওই মুখপাত্র বন্দী বিনিময় আলোচনাকে একটি চলমান এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল আলোচনা বলে অভিহিত করে তার বিশদ বিবরণ নিয়ে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানান।
যদিও মার্কিন প্রশাসন তহবিল স্থানান্তরের সময় সম্পর্কে মন্তব্য করেনি, তবে গত ৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্ক জিন বলেছিলেন, ইরানের তহবিল স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে।
কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘ইরান-মার্কিন সম্পর্ক বিশ্বাসের বৈশিষ্ট্য নয়। আমরা ইরানকে তার ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে বিচার করি, অন্য কিছু নয়।’
ওই মুখপাত্র বলেন, ‘ওয়াশিংটন দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কাতারের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সীমিত অ্যাকাউন্টগুলোতে ইরানী তহবিল চলাচলে সম্মত হয়েছে, তবে কোনও অর্থ সরাসরি ইরানে যাচ্ছে না।’
কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলোচনার বিশদ বিবরণ, আলোচনায় কাতারের ভূমিকা বা চূড়ান্ত চুক্তির শর্তাবলী সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তার জাতিসংঘ মিশন এ বিষয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।
আরও পড়ুন:
গালফ বাংলা
