কাতারে বিশ্বকাপ চলাকালে প্রতিদিন ৪ কোটি ৩০ লাখ মিনিট মোবাইল কল

কমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ) এর কারিগরি বিষয়ক বিভাগের পরিচালক আলী আল সুওয়াইদি বলেছেন, ফিফা বিশ্বকাপ কাতার ২০২২ চলাকালে গড় দৈনিক ডেটা ব্যবহার হয়েছে ২ হাজার ৮২৮ টেরাবাইট, ৫জি নেটওয়ার্কে গড় ডাউনলোড গতি ছিল ২৭৬ এমবিপিএস এবং গড় আপলোড গতি ছিলো ১৫ এমবিপিএস।
আর সেই সময় কাতারে ভয়েস কলের গড় পরিমাণ ছিল প্রতিদিন প্রায় ৪৩ মিলিয়ন বা ৪ কোটি ৩০ লাখ মিনিট।
কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন
আল সুওয়াইদি বলেন, সিআরএ সব পক্ষের জন্য ৩ হাজার ৭০০ টিরও বেশি ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ করেছিলো, যার মধ্যে লিসেনিং সিস্টেমের জন্য একটি বিশেষ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড ছিলো।
ফলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন লোকেরা বিশ্বকাপের সমস্ত স্টেডিয়ামের ভিতর থেকে ম্যাচের পরিবেশ উপভোগ করতে পেরেছেন।
উল্লেখ্য, এই প্রযুক্তিগুলির মধ্যে রয়েছে অফসাইডের কেস সনাক্ত করতে সাহায্য করার জন্য আধা-স্বয়ংক্রিয় অফসাইড প্রযুক্তি, ভিডিও সহকারী রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি, গোল লাইন প্রযুক্তি, সরাসরি প্লেয়ার এবং বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি, এবং রেফারিদের মধ্যে বেতার যোগাযোগ প্রযুক্তি।
কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
তিনি উল্লেখ করেন, ফিফা বিশ্বকাপ শুরুর দুই বছর আগে কর্তৃপক্ষ টুর্নামেন্টের জন্য ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রাম পরিকল্পনা করেছিল।
সুওয়াইদি নিশ্চিত করেছেন, টুর্নামেন্ট সময়কালে ফিফার কোনো কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে এমন কোনো রেডিও হস্তক্ষেপের ঘটনা রেকর্ড করা হয়নি।
কর্তৃপক্ষ একটি প্রিপেইড সিম কার্ড পাওয়ার জন্য দুটি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি উরিদু কাতার এবং ভোডাফোন কাতারের সহযোগিতায় নিবন্ধন পদ্ধতি আপডেট করেছে।
তার মতে, “হায়া” কার্ড ব্যবহার করে এই পদ্ধতিতে ৬ লাখ ৬৫ হাজার মোবাইল ফোন সিম কার্ড নিবন্ধিত হয়েছে, যা আবেদনকারীর জন্য একটি শনাক্তকরণ নথি হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
সিআরএ দুটি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিকে প্রায় ৩ মিলিয়ন মোবাইল ফোন নম্বর বরাদ্দ দিয়েছে এবং সেই সময়ের চাহিদা মেটাতে দর্শক এবং টুর্নামেন্ট আয়োজকদের জন্য প্রায় ৪০ হাজার ফিক্সড লাইন ছিলো।
তিনি বলেন, কাতারে উচ্চ-স্তরের যোগাযোগ অবকাঠামো রয়েছে, যা একটি ফাইবার-অপ্টিক নেটওয়ার্ক দ্বারা পরিচালিত।
প্রায় শতভাগ বাড়িগুলিকে এই ফাইবার অপ্টিক কভার করে এবং চতুর্থ প্রজন্মের প্রযুক্তির (৩জি) জনসংখ্যার কভারেজের শতাংশ প্রায় ১০০ ভাগে পৌঁছেছে।
কাতারে এখন ফাইভ জি নেটওয়ার্কের জনসংখ্যা কভারেজের শতাংশ প্রায় ৯৬ এ পৌঁছেছে।
সিআরএ এর কারিগরি বিষয়ক বিভাগের পরিচালক আলী আল সুওয়াইদি এই সাক্ষাৎকারের শেষে বলেছেন, গ্রাহকরা ফিফা বিশ্বকাপ কাতার ২০২২-এর সময় উচ্চ মানের মোবাইল টেলিযোগাযোগ পরিষেবা পেয়েছেন, টেলিযোগাযোগ শক্তিশালীকরণে পরিষেবা প্রদানকারীদের তাদের বিনিয়োগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন
The Peninsula
