কাতার থেকেও বাকিতে গ্যাস কিনতে চায় বাংলাদেশ

কাতার থেকে ২৭৪ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। আর সবশেষ হিসেবে দেশটিতে রপ্তানি হয় প্রায় ৯ কোটি ডলারের পণ্য। মূলত এলএনজি আমদানিতে বড় অংকের অর্থ গুণতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

বৈদেশিক মুদ্রার সংকটকালে সরকার বাকিতে গ্যাস কেনার চেষ্টা করছে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানির ঢাকা সফরে সেই প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সৌদি আরব থেকে ১ বছরের বাকিতে জ্বালানি তেল কেনা হচ্ছে। কাতার থেকে গ্যাস কিনতেও একই সুবিধা চাইবে সরকার। এছাড়া দেশটির প্রতি বিনিয়োগ বাড়ানোরও আহ্বান থাকবে।

তেল-গ্যাস সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার থেকে থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, সার, পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে করা দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় বছরে প্রায় ৩ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি হয়।

কাতারের সব আপডেট পেতে যুক্ত হোন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে

পরিসংখ্যান বলছে, ২০০০ সালে কাতারে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে প্রায় ২৪ লাখ ডলারের পণ্য। বিপরীতে আমদানি হয়েছে ৪৫ লাখ ডলারের। এলএনজি, সারের মত পণ্যে ভর করে কাতার থেকে বার্ষিক আমদানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪ কোটি ডলারে। দেশটিতে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করে।

২০২২ সালে গ্যাসের দাম খোলাবাজারে কয়েকগুণ বাড়ে। গ্যাসের বাড়তি চাহিদা মেটাতে গত বছর মার্চে কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জাতিসংঘ সম্মেলনের ফাঁকে দেশটির আমিরের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহ বাড়ানোর জন্য দেশটির আমিরকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এ ধারাবাহিকতায় গত জুনে আরও একটি চুক্তি সই হয় দুদেশের মধ্যে। যার মাধ্যমে ২০২৬ সাল থেকে বছরে আরো ১৮ লাখ টন এলএনজি মিলবে।

সোমবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুইদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন। এই সফরে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বন্দি বিনিময়, দ্বৈত কর পরিহার, জনশক্তি রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ১১ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

জানা গেছে, কাতারের বন্দর ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান মাওয়ানি বাংলাদেশেও বন্দর পরিচালনায় আগ্রহী। মহেশখালীর মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্র বন্দরের ব্যবস্থাপনা করতে চায় দেশটি।

itv

Loading...
,