কাতার প্রবাসীর প্রথম সন্তান মেয়ে হওয়ায় পানিতে ফেলে হত্যা করলেন মা

কুমিল্লার মুরাদনগরে রাবেয়া নামে ১৯ দিন বয়সী এক কন্যা শিশুকে খালের পানিতে ফেলে হত্যা করেছেন তারই মা।

প্রথম সন্তান মেয়ে হওয়ায় রত্না আক্তার (১৯) নামের ওই নারী তার সন্তানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত রত্না আক্তারকে শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে তাকে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।

এর আগে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার টনকি ইউনিয়নের বাইড়া গ্রামের একটি খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে এদিন দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত শিশু রাবেয়া বাইড়া গ্রামের ফরিদ ভান্ডারী বাড়ির কাতার প্রবাসী মজিবুর রহমানের একমাত্র মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের দাদা বাচ্চু মিয়া বাদি হয়ে রাতে বাঙ্গরা বাজার থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, প্রথম সন্তান মেয়ে হওয়ায় শিশুটিকে বাড়ির পাশের খালে ফেলে দেন রত্না আক্তার।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেই বিষয়টি স্বীকার করেছেন। শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মামলার বাদি বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমরা বাড়ির পাশের একটি জমিতে কাজ করতে যাই। তখন আমার নাতনি ঘুমাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর রত্না আক্তারের চিৎকার শুনে বাড়ি গিয়ে শুনি তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।

পরে সবাই মিলে বিভিন্ন স্থানে তাকে খুঁজতে থাকি। সারাদিন কোথাও না পেয়ে সন্ধ্যায় বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।

শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের খালে মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীররা পুলিশে খবর দেন। কিন্তু ভাবতেও পারিনি মা নিজেই তার সন্তানকে হত্যা করবে। আমি এই পাষণ্ড মায়ের ফাঁসি চাই।’

Loading...
,