কাতার প্রবাসীর স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় নিজ বাড়ির উঠান থেকে এক প্রবাসীর স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২০ আগস্ট) সকালে পাংশা থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
নিহত নারীর নাম রুনা খাতুন। তিনি পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মুচিদহ খামারডাঙ্গি গ্রামের কাতার প্রবাসী আনিছুর রহমানের স্ত্রী।
তাদের ১০ বছর বয়সী মেয়ে ও দেড় বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রতিবেশী মিলন শেখকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। মিলন শেখ একই গ্রামের খলিল শেখের ছেলে।
রুনা খাতুনের চাচা শ্বশুর আতাহার মণ্ডল জানান, গৃহবধূ রুনা তার ১০ বছর বয়সী মেয়ে উম্মে ও দের বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে এক ঘরে থাকতেন।
গভীর রাতে উম্মের কান্না কাটিতে তাদের ঘুম ভেঙে বাইরে এসে দেখে রুনার হাত-পা বাঁধা মরদেহ উঠানে পড়ে আছে। রাতেই পুলিশ খবর দেয়া হলে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন
আতাহার মণ্ডল আরও জানান, যে উম্মে তাদের জানিয়েছে রাতে ঘুম ভেঙে দেখে তাদের মা ঘরে নেই। ঘরের দরজা খোলা।
বারান্দায় এসে দেখে মিলন শেখ দাঁড়িয়ে আছে। উম্মে তার মায়ের কথা জানতে চাইলে কৌশলে তাকে টয়লেটে আটকে রেখে মিলন পালিয়ে যান।
পরে টয়লেট থেকে বের হয়ে উম্মে কান্না করতে থাকে। তখন আমাদের ঘুম ভাঙে।
কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
পাংশা থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে, কে বা কারা কেন তাকে হত্যা করেছে এটা বলার সময় এখনও হয়নি। সময় হলে বিস্তারিত জানানো যাবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পাংশা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহা জানান, এ ঘটনায় মিলন শেখকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
গালফ বাংলা
