কাতার প্রবাসী শ্বাশুড়ির কুবুদ্ধিতে নির্যাতনের শিকার গৃহবধু
পেশায় তিনি চিকিৎসক, চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কর্মরত। তবুও একটি মোটরসাইকেলের জন্য স্ত্রীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতেন তিনি। শুধু তাই নয় যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নির্যাতন, একাধিকবার জোর করে গর্ভপাত ঘটানো ও অন্য পুরুষ দিয়ে ধর্ষন করানোর হুমকিও দেন ডা. মো. মহসিন নামের এই চিকিৎসক। শেষমেষ স্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই পাষণ্ড চিকিৎসককে আটক করেছে পাঁচলাইশ মডেল থানার পুলিশ।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর দক্ষিণ শুলকবহর লাকী ফার্মেসীর পিছনে মোজাম্মেল ম্যানশনের ২য় তলার একটি বাসার বন্দিদশা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাঁচলাইশ থানার ডিউটি অফিসার এএসআই ইমরুল। ভিকটিমের দেয়া অভিযোগেরভিত্তিতে মামলা দায়েরসহ অন্য আসামীদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।
সানজিদার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১২ নভেম্বর পারিবারিক ভাবে ডা. মো. মহসিনের সাথে পারিবারিকভাবে সানজিদার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর তিনি স্বামীসহ নগরীর একটি বাসায় বসবাসকালে কাতার প্রবাসী শ্বাশুড়ী কহিনুর আক্তার ও দেশে থাকা মামা শ্বশুর শফির ‘কু-পরামর্শে’ সানজিদার ওপর নিয়মিত নির্যাতন চালাতো ডা. মহসিন। মাত্র ৫ মাসের এই অল্প সময়েই পাষণ্ড স্বামী মহসিনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সানজিদা।
ডা. মহসিন একটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য যৌতুক দাবী করেছিলেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে মারধর করাসহ মানসিকভাবে সানজিদার ওপর নির্যাতন চালাতেন।
বিয়ের পর প্রতিমাসে চিকিৎসক স্বামী তার স্ত্রীকে একটি করে ইনজেকশন দিতো বলে অভিযোগে জানানো হয়। মূলত ইনজেকশন কেন দিত তা গোপন রেখে স্ত্রীর গর্ভপাত করানো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে আটক স্বামীর বিরুদ্ধে।
পরিবার বন্ধু স্বজনের সাথে সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করার পাশাপাশি স্ত্রীকে বাসার বাহিরে তালা দিয়ে রাখা হতো বলে জানান ভিকটিম। আর এসব নিয়ে উচ্চবাক্য করলে নিজের স্ত্রীকে অন্য পুরুষ দিয়ে ধর্ষণ করানোর হুমকি দিতেও দ্বিধা করেননি ডা. মহসিন।
