চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেক্সে প্রতারকের হাট!

চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেক্সে যাত্রীদের সাথে অভিনব প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
৫ জুন বিমান ছাড়ার পূর্বমুহুর্তে ভিসা এন্ট্রিতে “ভুল ” আছে ভয় দেখিয়ে একটি চক্র রাকিবুল ইসলাম নামের এক যাত্রীর পরিবারের কাছ থেকে মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ এর মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেক্সে এমন প্রতারণার ঘটনা ঘটছে অহরহ। তবে, প্রবাসী কল্যাণ ডেক্সে নিয়োজিতরা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ঘটনার শিকার রাকিবুল ইসলাম বলেন, গত ৫ জুন রাত ৯ টা ২৭ মিনিটে আমি সালাম এয়ারে করে ওমানে যাওয়ার জন্য বিমান বন্দরে পৌঁছি।
এরমধ্যে বিমান যাত্রার আনুষাঙ্গিক কাজ সেরে ইমিগ্রেশন করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ডেক্সে যায়। এসময় ডেক্সে থাকা বিমানের কয়েকজন কর্মকর্তা আমার পাসপোর্ট এবং ভ্রমণসংক্রান্ত কাগজপত্র দেখে বলেন আমার ভিসা এন্ট্রিতে ভুল আছে।
এটা ঠিক করে আনতে না পারলে একটু পর সালাম এয়ারের ৯ টা ২৭ মিনিটের ফ্লাইটে ওমান যাত্রা করতে পারব না।
কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন
রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমি তাঁদের কথায় অস্থির হয়ে পরি, ভয় পেয়ে যায়। পরে ডেক্সে থাকা কর্মকর্তাদের কাছে এব্যাপারে পরামর্শ চাইলে তাঁরা আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৩ হাজার টাকা বিকাশ বা নগদে পাঠাতে বলেন।
এরপর তাঁরা সব ঠিক করে দিবে বলে জানান। পরে আমার বড়ভাই মোহাম্মদ বায়েজিদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সমস্যার কথা জানায়।
বায়েজিদ বলেন, আমি প্রবাসী কল্যাণ ডেক্সে যোগাযোগ করি। তাঁদের প্রশ্ন করি, ভিসা এন্ট্রিতে যদি ভুল থাকত তাহলে আমার ভাইয়ের ম্যানপাওয়ার হলো কিভাবে?
তার বডিং নম্বর-২২১৭ ও ইমিগ্রেশনে যাওয়ার অনুমতি পেল কিভাবে? এরপর তাঁরা বলেন, আজ ফ্লাইট মিস করলে বিমান ভাড়া ৪২ হাজার টাকা গচ্ছা যাবে। এরচেয়ে ৩ হাজার টাকা পেমেন্ট করে ভুল সংশোধন করলে ভালো হবে।
মোহাম্মদ বায়েজিদ বলেন, তাঁদের কথা মতো প্রবাসী কল্যাণ ডেক্সের সুমন আলীর (তাঁদের জানানো নাম) ০১৭৯১৮৬৩৮১৫ মোবাইল নম্বরে ৩ হাজার টাকা মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ-এ পাঠায়। যার ট্রানজেকশন নম্বর আইডি 71XT35DU।
রাকিবুল ইসলামের ভিসার প্রসেসিং, বিমানের টিকেট কনর্ফমসহ যাবতীয় কাজ করেছে ফ্লাইওয়ে ট্রাভেল এজেন্সি। ভিসাতে কথিত ‘ভুলের ‘ বিষয়ে ফ্লাইওয়ে ট্রাভেল এজেন্সির ম্যানেজার আকিব ইফতেজান বলেন, ভিসা এন্ট্রিতে যদি ভুল থাকে তবে ম্যনপাওয়ার হতো না।
বিমানবন্দর কেন্দ্রিক এটা একটা প্রতারকচক্র। তাঁদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
নগদ এজেন্টের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা আদায় করা মোবাইল নম্বরটিতে একাধিকবার ফোন করা হলেও কেউ রিসিভ করেনি।
একটি অ্যাপসের মাধ্যমে জানা গেছে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায় করা মোবাইল নম্বর ০১৭৯১৮৬৩৮১৫ এর রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে এমআর ইউ এর নামে।
এব্যাপারে বিমান বন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেক্সে যোগাযোগ করা হলে প্রতারণার বিষয়টি তারা অবগত নন। প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায় করা মোবাইল নম্বরটি তাঁদের পরিচিত নয়।
আরো পড়ুন
ChattolarKhobor
