দুবাইয়ে এমিরেটস ও কাতার এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চলছে যাত্রী পাচ্ছে না বিমান

ঢাকা থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি পেলেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এ রুটে এখনো ফ্লাইট শুরু করতে পারেনি। তবে এমিরেটস ও কাতার এয়ারলাইন্স (ট্রানজিট) দুবাই ও আবুধাবী রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

সম্প্রতি সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত হয়েছে ছয়টি আরটি-পিসিআর ল্যাব। দুবাই ও আবুধাবীগামী যাত্রীরা ফ্লাইট ছাড়ার ৬ ঘণ্টা আগে এসব ল্যাবে করোনা পরীক্ষার পর নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশটিতে যেতে অনুমতি দিয়েছে ইউএই সরকার। এমন ঘোষণা দেয়ার পরও গতকাল শনিবার পর্যন্ত ঢাকা থেকে রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী শিডিউল ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়নি।

গতকাল রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে জানান, ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি পাওয়া গেলেও বিমানে এখনো যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। যার কারণে বিমানের ফ্লাইট শুরু করা সম্ভব হয়নি।

তবে এক সপ্তাহের মধ্যে আশা করছি এই দুই রুটে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়ে যাবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিমানের দুবাইগামী ফ্লাইট শুক্রবার রাতেও কিন্তু ঢাকা থেকে ছেড়ে গেছে। তবে এদিন ঢাকা থেকে কার্গো ফ্লাইট গিয়ে ফিরতি ফ্লাইটে যাত্রী নিয়ে ফিরেছে।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বিমানবন্দরে স্থাপিত আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করে যাত্রীরা দুবাই যাচ্ছেন। তবে এখন ঢাকা-দুবাই-ঢাকা এবং ঢাকা-আবুধাবী-ঢাকা রুটে শুধু এমিরেটস এয়ারলাইন্স নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আর ঢাকা থেকে কাতার এয়ারওয়েজ দুবাইয়ের ট্রানজিট প্যাসেঞ্জার নিয়ে যাচ্ছে।

দুবাই ও আবুধাবী রুটে যাত্রী না পাওয়ার কারণ জানতে গতকাল শনিবার রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

বিমানের বলাকা ভবন সূত্রে জানা যায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকার সিভিল এভিয়েশন অথোরিটি থেকে দুবাই রুটে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি পেয়েছে। অপর দিকে ঢাকা-মালয়েশিয়া-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি পায়নি বলে সূত্রে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, দুবাই, আবুধাবী ও মালয়েশিয়া থেকে যেসব প্রবাসী ছুটিতে দেশে এসে করোনার কারণে আটকে পড়েছিলেন তারা ওই দেশে ফিরতে দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। এর মধ্যে অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে রয়েছে। একপর্যায়ে এসব কর্মীর আন্দোলনের কারণে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জোর কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে ওই দেশের সাথে।

বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে রয়েছেন। তিনি দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের কোম্পানিগুলো পরিদর্শন করছেন এবং শ্রমিকদের কাছ থেকে সমস্যাগুলো শুনে সেগুলো দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছেন বলে মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Loading...
,