দুর্নীতিবাজদের ধরতে নাগরিকদের কাছে তথ্য চায় সৌদি আরব

দুর্নীতি দমনে এবার বিশেষ পদক্ষেপ নিল সৌদি আরবের জাতীয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ‘নাজাহা’। নাগরিকদের দেওয়া তথ্যেই ফাঁস হবে দুর্নীতিবাজদের মুখোশ।

সংস্থাটির মতে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্নভাবেই চিহ্নিত করা যেতে পারে। সাধারণ জনগণের একটুখানি সজাগ দৃষ্টিই পারে কাজটিকে আরও সহজ করতে।

কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার এ লক্ষ্যে সংস্থাটির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, নাজাহার টোল ফ্রি নম্বর, ই-মেইল, ওয়েবসাইট, লিখিত বার্তার মাধ্যমেও নাগরিকরা ধরিয়ে দিতে পারেন অপরাধীকে।

সম্প্রতি সৌদি আরব ‘হোয়াইট কলার ক্রাইম’ (পাবলিক দুর্নীতি, স্বাস্থ্যসেবা, জালিয়াতি এবং অর্থ পাচার)-এর বিরুদ্ধে কড়াকড়ি পদক্ষেপ নিচ্ছে। গালফ নিউজ।

চলমান এ অভিযানের ধারাবাহিকতায় কয়েক ডজন রাষ্ট্রীয় কর্মচারী এবং উদ্যোক্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে নাজাহা জানায়, কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে এক মাসের অভিযানে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১০৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঘুস, প্রভাব বিস্তার, মানি লন্ডারিং এবং বিভিন্ন জালিয়াতির সঙ্গে তারা জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

নাজাহ আরও জানায়, গত মহররম মাসে অভিযান চালানো সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, বিচার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং পৌরবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

গত মে মাসে নাজাহা জানিয়েছিল, ঘুস, চাকরির অপব্যবহার, অর্থ পাচার এবং জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৮৪ জন সরকারি কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত মার্চে কয়েক মিলিয়ন সৌদি রিয়ালের দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়। এতে শ্রম ভিসায় কূটনীতিক, নিরাপত্তাকর্মী এবং প্রবাসীরা জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।

কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলাদেশে সৌদি দূতাবাসে কর্মরত দুই কূটনীতিকসহ ১৩ সন্দেহভাজনের নাম সামনে আসে।

এদিকে সৌদি আরব এবং মালদ্বীপ অখণ্ডতা রক্ষায় এবং দুর্নীতি দমনে দুই দেশের মধ্যে যৌথ পদক্ষেপের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

২৪ আগস্ট নাজাহার সভাপতি মাজেন আল-কাহমুস এবং মালদ্বীপের দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রেসিডেন্ট অ্যাডাম শামিল রিয়াদে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকে উভয় পক্ষ সততা রক্ষা, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে পর্যালোচনা করে।

বৈঠকে সৌদি আরব ও মালদ্বীপের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর লক্ষ্য দুর্নীতিসম্পর্কিত অপরাধের বিষয়ে তথ্য বিনিময় করা এবং এটি দমনে উভয় পক্ষের প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতাকে শক্তিশালী করা।

আরও পড়ুন:

গালফ বাংলা

Loading...
,