পরকীয়ার জেরে কাতার প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পরকীয়ায় সাড়া না দেওয়ায় রাসেল নামে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে কাতার প্রবাসীর স্ত্রী মৌসুমী (৩৫) প্রকাশ্যে খুন হয়েছেন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন নিহতের ছেলে নাইমুর রহমান এবং একই বাড়ির রানু বেগম। পরে গণপিটুনিতে মারা যায় ঘাতক রাসেল (৪০)।

গত রবিবার সকাল ৯টার দিকে জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের জাফরনগর গ্রামের উত্তর ভূঁইয়াবাড়িতে কাতারপ্রবাসী সফিউল্লাহর বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বলছে, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে নিহত নারীর কথিত প্রেমিক রাসেল তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত মৌসুমী কাতার প্রবাসী সফিউল্লাহর স্ত্রী। তাদের তিনটি সন্তান। অন্যদিকে গণপিটুনিতে নিহত রাসেল পার্শ্ববর্তী মোল্লাবাড়ির ছিদ্দিক মোল্লার বখাটে ছেলে। সেও বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক। সে পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী সফিউল্লাহর স্ত্রী নাসরিন সুলতানা মৌসুমীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মোল্লাবাড়ির ছিদ্দিক মোল্লার বখাটে ছেলে রাসেল মোল্লার দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলছিল।

একপর্যায়ে পারিবারিক চাপে মৌসুমী সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালান এবং নিজের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেন। খবর পেয়ে রাসেল আরো ক্ষীপ্ত হয়ে মৌসুমীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। রবিবার সকালে রাসেল মৌসুমীর ঘরের সামনে গিয়ে দরজা খুলতে চাপ সৃষ্টি করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মৌসুমী গ্রাম্য পুলিশ মিজানুর রহমানকে খবর দেন।

পরে গ্রাম পুলিশসহ গ্রামের লোকজন উপস্থিত হলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির আনোয়ার মোল্লার নির্দেশে দরজা খুলে দেওয়ামাত্রই বখাটে রাসেল ঘরে প্রবেশ করেই মৌসুমীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে।

এতে মৌসুমী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্বজনেরা দ্রুত তাকে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে গ্রামবাসী ঘাতক রাসেলকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করলে হাসপাতালে নেওয়ার সময় সে মারা যায়।

ইত্তেফাক

Loading...
,