পাসপোর্টে নাম সংশোধনে সাত মাস!

মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের সঙ্গে ই-পাসপোর্টের নামের মিল নেই। তিনি নাম সংশোধন করতে সাত মাস ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিসে ঘুরে ঘুরে হতাশ রাজধানীর কাফরুলের বাসিন্দা শামীমা বেগম।
শামীমা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, তিনি পাঁচ বছর আগে এমআরপি করেছেন। ওই সময়ে পাসপোর্টে তার নাম ছিল শামীমা খাতুন। এখন তিনি শামীমা বেগম করতে চান।
এই নাম না হলে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সমস্যা সৃষ্টি করবে। এ কারণে তিনি সাত মাস ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু পাসপোর্ট অফিসে ঘুরেও কারো কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
এদিকে বুধবার আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিসে দেখা যায় মানুষের ঢল। তথ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে প্রতিটি কাউন্টারের সামনে মানুষের লম্বা লাইন। বিভিন্ন বিষয় জানতে চাওয়ায় উত্তর দিতে দায়িত্বরত কর্মকর্তারাও হিমশিম খাচ্ছেন।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন পাসপোর্ট অফিস বন্ধ থাকায় এমন ভিড় জমেছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে যারা অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন করে ওই অফিসে এসেছেন এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নামের সঙ্গে কোনো অমিল নেই তারা দ্রুত কাজ শেষ করে চলে যেতে পারছেন।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, কেউ যদি নাম পরিবর্তন করতে আসেন, তার নাম তো সহজেই পরিবর্তন করে দেওয়া যাবে না। যাচাই-বাছাইয়ের ব্যাপার আছে।
তিনি বলেন, পাসপোর্টে একটি মানুষের নাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি একবার যে নামে পাসপোর্ট করেছেন, পরে এসে তিনি নাম বদল করতে চাইলে সেটা তো সমস্যা হবেই। তিনি যে অপরাধী না, তার নিশ্চয়তা কী? অপরাধী হয়ে যদি তিনি নাম বদল করে আইনি সুযোগ নিতে চান, তার জবাব কে দেবে? ছোটখাটো ভুল ঠিক করে দেওয়া হয়।
