প্রবাসী ভাইয়ের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছোট ভাইকে মেরে লাশ গুম

বান্দরবানের লামায় ছোট ভাইকে হত্যা করে পাহাড়ে লুকিয়ে রাখেন এক যুবক।
পরদিন নিজেই স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে মরদেহ খুঁজে বের করেন এবং স্বজন হারানোর আহাজারি করেন। তবে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই যুবককে আটক করে পুলিশ।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
পরে ওই যুবকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের পর আজ মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম শেখ।
তিনি বলেন, ‘প্রবাসী বড় ভাইয়ের পাঠানো টাকার হিসাবকে কেন্দ্র করে ওই যুবক তাঁর ছোট ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় ওই যুবককে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মো. ইউনুস (২৪) এবং ইউনুসের লাঠির আঘাতে নিহত তাঁর ছোট ভাই হলেন মো. আব্দুর রশিদ (২২)। তাঁরা মধ্যম রাঙ্গা ঝিরিপাড়ার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে।
গ্রেপ্তার মো. ইউনুসের বরাতে পুলিশ বলছে, মধ্যম রাঙ্গাঝিরি এলাকার বাসিন্দা কৃষক আবুল কালামের চার ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে মো. ফিরোজ (৪০) সৌদিপ্রবাসী।
বিভিন্ন সময় প্রবাসী মো. ফিরোজ পারিবারিক কাজে ইউনুস ও আব্দুর রশিদের কাছে টাকা পাঠাতেন।
কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন
এসব টাকার হিসাব নিয়ে রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১০টার দিকে মধ্যম রাঙ্গারঝিরির একটি সড়কের ওপর ইউনুস ও আব্দুর রশিদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে ইউনুস ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে ছোট ভাই আব্দুর রশিদ মারা যান।
পরে ইউনুস ছোট ভাই আব্দুর রশিদের লাশ পাশের পাহাড়ের জঙ্গলে লুকিয়ে রেখে বাড়িতে চলে যান।
কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
পরদিন সোমবার দিবাগত রাতে ইউনুস স্বজনদের সহায়তায় ওই পাহাড় থেকে আব্দুর রশিদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করলে একপর্যায়ে ছোট ভাই আব্দুর রশিদকে হত্যা করে পাহাড়ে লাশ লুকিয়ে রাখার ঘটনা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন ইউনুস।
পরে এ ঘটনায় ঘাতক ইউনুসের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন:
গালফ বাংলা
