প্রবাসী হত্যায় স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, মেয়ের যাবজ্জীবন

কুমিল্লার চান্দিনায় এক প্রবাসীকে হত্যার দায়ে তার স্ত্রীসহ চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। রায়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার প্রবাসীর মেয়েকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জাহাঙ্গীর হোসেন রায় ঘোষণা করেন বলে ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. জাকির হোসেন জানান।
কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কাশারীখোলার নিহত শহীদ উল্ল্যাহর (৪৮) স্ত্রী হাছনেয়ারা বেগম ওরফে হাছেনা, একই গ্রামের মো. শাহজাহান, মো. আমির হোসেন ও মো. মোস্তফা।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- নিহতের মেয়ে মোছা. খাদিজা বেগম ওরফে খোদেজা।
রায়ে একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার শহীদ উল্ল্যাহ চান্দিনা উপজেলার কাশারীখোলা গ্রামের ছায়েদ আলীর মেজ ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় আমির হোসেন, হাছনেয়ারা ও খাদিজা বেগম আদালতে হাজির ছিলেন। তবে মো. মোস্তফা ও শাহজাহান পলাতক আছেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে পিপি জাকির হোসেন জানান, ২০০৯ সালের ২১ নভেম্বর সকালে কাশারীখোলা গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে প্রবাসী শহীদ উল্ল্যাহর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আরব আলী (৫৬) বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দিনা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. তারেক এবং আবদুল হান্নান তদন্তে শহীদকে হত্যায় স্ত্রী-মেয়ের সম্পৃক্ততা পান।
পরে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন তারা।
কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
স্বীকারোক্তিতে নিহতের স্ত্রী-মেয়ে জানান, বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার হিসাব নিয়ে তাদের সঙ্গে বিবাদের সৃষ্টি হয় শহীদ উল্যার। এ ঘটনায় রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী ও মেয়ে অন্যদের নিয়ে শহীদকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে আসেন।
তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমির হোসেন, শাহজাহান ও মোস্তফাসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
২০১০ সালের ২৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আটজন ও আসামিপক্ষে একজনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে আদালত এ রায় দেয় বলে জানান পিপি জাকির হোসেন।
আরও পড়ুন:
গালফ বাংলা
