ফিলিস্তিনি শিশুকে নিজের কিডনি দান করলেন ইসরায়েলি নারী

বিস্ফোরণ আর অস্ত্রের খেলায় কখনো কখনো জিতে যায় মানবতাও। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বেও দেখা গেল এমন চিত্র। ফিলিস্তিনের তিন বছর বয়সী এক শিশুর দেহে রয়েছে ইসরায়েলের এক নারীর কিডনি।
শান্তির মহান বার্তা দিতে নিজের জন্মদিন উপলক্ষ করে এ পদক্ষেপ নেন এ নারী। গুড নিউজ নেটওয়ার্ক নামক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কারও জন্মদিন থাকলে সাধারণত সবাই উপহার পেতে চায়। কিন্তু গত জুনে নিজের ৫০ তম জন্মদিন সামনে রেখে দারুণ কিছু করতে চেয়েছিলেন ইসরায়েলের কিন্ডারগার্টেন শিক্ষিকা ইদিত হারেল সেগাল।
সিদ্ধান্ত নিলেন কোনো মরণাপন্ন রোগীকে তাঁর কিডনি দান করবেন। পাঁচ বছর আগে মারা যাওয়া দাদার স্মরণে এ সিদ্ধান্ত। তাঁর দাদা হলোকাস্টে বেঁচে যাওয়াদের একজন।
কিডনি দেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনের এক তিন বছর বয়সী শিশুকে বেছে নেন সেগাল।
দুই দেশে যাতায়াতে রয়েছে কড়া নজরদারি। এর ফাঁকেই সেই কিডনি দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় মাতনাত চাইম নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। গত ১৬ জুন শিশুটির অস্ত্রোপচার করা হয়।
‘তুমি আমাকে চিনবে না। আমার ভাষাও বুঝবে না। আমিও তোমার ভাষা বুঝব না। কিন্তু আমরা দুজন খুব কাছের হয়ে যাব। তোমার দেহে থাকবে আমার কিডনি।
আমি মন থেকে চাই অস্ত্রোপচার সফল হোক। তুমি আবার সুস্থ হয়ে ওঠো। দীর্ঘজীবী হও, এই কামনা।’ -অস্ত্রোপচারের আগে সেই শিশুকে এমন চিঠি লিখে পাঠিয়েছিলেন সেগাল।
সেগালের কিডনি দেওয়ার সিদ্ধান্তে প্রথম বাধা আসে পরিবার থেকে। কেউই চাননি এটি। কিন্তু তাঁর মনে হয়েছিল ছোট এ কাজটিই হতে পারে বিদ্বেষ দূর করার অন্যতম হাতিয়ার।
