ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার শঙ্কা ওসমানী বিমানবন্দরে

উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে উন্মুক্ত হয়ে গেছে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জেট ফুয়েল সরবরাহের হাইড্রেন্ট লাইন। কাটা পড়েছে জ্বালানি ডিপোর পিএলসি সিস্টেমের অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল (ওএফসি)।

এতে বিমানবন্দরে নিরবচ্ছিন্ন জেট ফুয়েল সরবরাহ পড়েছে হুমকির মুখে। আর জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কাতার এয়ারওয়েজে চাকরির খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন

তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিকল্প ব্যবস্থা থাকায় ফ্লাইট বন্ধের আশঙ্কা নেই। উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে জ্বালানি সরবরাহ সিস্টেমে যে সমস্যা হয়েছে তা কয়েকদিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।

সূত্র জানান, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল নির্মাণ, রানওয়ে সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের কাজ চলছে। এর অংশ হিসেবে বর্ধিত করা হচ্ছে অ্যাপ্রোন।

৪ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অ্যাপ্রোন বর্ধিতকরণ কাজের সময় এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি খনন করতে গিয়ে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড পরিচালিত জেট এ-১ হাইড্রেন্ট লাইনটি উন্মুক্ত হয়ে যায়।

কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

এ সময় ডিপোর পিএলসি সিস্টেমের ওএফসি ক্যাবলও কাটা পড়ে। ওএফসি ক্যাবল কাটা পড়ায় ইমারজেন্সি শাট অব বাটনের (ইএসবি) সঙ্গে ডিপোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

জ্বালানি সংকট সৃষ্টির আশঙ্কার বিষয়টি উল্লেখ করে ২০ নভেম্বর ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালককে চিঠি দিয়েছে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে সংস্থার উপব্যবস্থাপক (এভিয়েশন) মো. আনোয়ার সাদাত ওই চিঠি দেন।

চিঠিতে বলা হয়, ‘হাইড্রেন্টে কোনো সমস্যা হলে বিমানবন্দরের জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধসহ নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া ৪ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজ সংলগ্ন অ্যাপ্রোনের বর্ধিতকরণ কাজের এলাকায় হাইড্রেন্ট লাইনের ভাল্ভ চেম্বার রয়েছে।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

অ্যাপ্রোন বর্ধিতকরণ কাজের ফলে এ ভাল্ভ চেম্বার ব্যবহার-অনুপযোগী হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’ এ ছাড়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মাটি খননের কারণে পাইপলাইন উন্মুক্ত হয়েছে।

এজন্য সতর্কতার সঙ্গে বাকি কাজ সম্পন্ন করার অনুরোধ জানিয়েছে পদ্মা অয়েল। নতুবা পাইপলাইনের লেভেল পরিবর্তন হয়ে এ লাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ বিঘিœত হবে বলে সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এ প্রসঙ্গে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ জানান, উন্নয়ন কাজের সময় ৪ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অ্যাপ্রোন বর্ধিতকরণের কাজের সময় মাটি কাটতে গিয়ে ক্যাবল লাইন কাটা পড়েছে।

এটা বড় ধরনের কোনো ঘটনা নয়। এ ছাড়া হাইড্রেন্ট লাইনটি উন্মুক্ত হওয়ায় কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। জ্বালানি সরবরাহেও কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, যদি কোনো কারণে হাইড্রেন্ট লাইন দিয়ে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধও হয়ে যায় তবু বড় ধরনের কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।

তখন ট্যাংক-লরি দিয়ে জ্বালানি সরবরাহ করা যাবে। একসময় ওসমানী বিমানবন্দরে রিফুয়েলিংয়ের ব্যবস্থা ছিল না, তখনো ফ্লাইট ওঠানামা করেছে। তাই এটা নিয়ে ভীতির কোনো কারণ নেই। কয়েকদিনের মধ্যে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ প্রতিদিন

Loading...
,