বিদেশে পাঠানোর নামে ৪২ লাখ টাকা প্রতারণা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নিমতলা মোড়ে অফিস ভাড়া নেয় ‘ফেমাস ট্যুরস অ্যান্ড ট্র্যাভেলস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ব্যবহার করে ফেসবুকে ভুয়া পেজ খোলা হয়।

বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরির বিজ্ঞাপন দেয়া হতো ওই ভুয়া পেজে। বিজ্ঞাপন দেখে আকৃষ্ট হয়ে যোগাযোগ করে প্রতারণার ফাঁদে আটকে পড়ে সাধারণ মানুষ।

এ ছাড়া দালালদের মাধ্যমে লোক সংগ্রহ করে প্রলোভনে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। বিদেশে কর্মী পাঠানোর নামে ১৩ জনের থেকে ৪২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে এ প্রতারক সিন্ডিকেটের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইনে মামলা হয়েছে।

আদিবাসী যুবক ইউলিয়াম কিসকু এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে ফেমাস ট্যুরস অ্যান্ড ট্র্যাভেলসের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. সেলিম আহম্মেদ, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামীম আহমেদ শ্যাম বাবু ও সহযোগী আমির হোসেনকে।

সেলিম আহম্মেদ ও শামীম আহমেদের বাড়ি গোদাগাড়ি উপজেলার কাকনহাটের জয়রামপুর গ্রামে। আমির হোসেনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারোঘরিয়ার কুমারপাড়ায়।

আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মামলা হওয়ায় অফিস বন্ধ করে পালিয়েছে এ চক্রের সদস্যরা। তদন্তে বিদেশে কর্মী পাঠানোর নামে প্রতারণার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরির খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন

ভুক্তভোগীরা মানবজমিনকে জানান, তারা ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় যেতে চেয়েছিলেন বিদেশে। ধার-দেনা করে টাকা দেন ফেমাস ট্যুরস অ্যান্ড ট্র্যাভেলসের সেলিম ও শামীমকে। কিন্তু স্বপ্ন পূর্ণ হয়নি তাদের। উল্টো এখন দিন কাটছে ঋণের দুঃস্বপ্নে।

বিদেশ যেতে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছে অনেকে। তাদের অনেকেই এখন সর্বস্বান্ত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রিপন কুমার মণ্ডল জানান, প্রতারক চক্রটি তাদের অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করে ফেসবুকে পেজ খুলে বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরির বিজ্ঞাপন দিতো।

এ ছাড়া তারা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দালালের মাধ্যমে বিদেশে যেতে ইচ্ছুক লোকজনের পাসপোর্ট সংগ্রহ করে। এভাবে তারা রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা থেকে ১৩টি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছে।

কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

তাদের ফিজি রাষ্ট্রে পাঠানোর জন্য মৌখিক চুক্তি করে এক থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছে।

যার পরিমাণ প্রায় ৪২ লাখ টাকা। তারা ফেমাস ট্যুরস অ্যান্ড ট্র্যাভেলসের ক্যাশ মেমো ও বিকাশের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করে। এরপর চুক্তি অনুযায়ী টাকা নিয়ে শেষ পর্যন্ত বিদেশ না পাঠিয়েই লাপাত্তা ওই চক্রটি। তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। আদালতে প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন ..

মানবজমিন

Loading...
,