মধ্যপ্রাচ্য থেকে এলো ৫৫% রেমিট্যান্স

চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বৈধ পথ অর্থাৎ ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৭৯ কোটি ডলার।

এর মধ্যে শুধু মধ্যপ্রাচ্য থেকেই এসেছে ৫৯২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, যা মোট রেমিট্যান্সের অর্ধেকেরও বেশি বা ৫৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

২০২৩ সালে রেকর্ডসংখ্যক কর্মী বিদেশে পাঠানো হলেও সে অনুযায়ী রেমিট্যান্স আসছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই বেশি শ্রমিক যাচ্ছেন।

তাই সেখান থেকে রেমিট্যান্স সবসময়ই বেশি আসে। তবে অর্থ পাচারের কারণে রেমিট্যান্সের সবটুকু ব্যাংকিং চ্যানেলে আসছে না। ফলে কাঙ্ক্ষিত রেমিট্যান্স আসছে না।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বেশি শ্রমিক বিদেশে গেলেও সে তুলনায় প্রবাসী আয় দেশে আসছে না বা আসতে দেওয়া হচ্ছে না।

কারণ অর্থ পাচারকারীরা তা কিনে নিয়ে সমপরিমাণ অর্থ সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। নির্বাচনের কারণে ২০২৩ সালে এই প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স খুব বেশি বাড়েনি।

কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

অর্থপাচার রোধে সরকার কিছুই করছে না। এমনকি ডলার সংকটের মধ্যেও জোরপূর্বক এর দর কমিয়ে রাখছে। নির্বাচনের পর নতুন সরকারকে এ বিষয়ে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থবছরের ছয় মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে, ১৯৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক ক

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব, তৃতীয় যুক্তরাজ্য। এ তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, মালয়েশিয়া, কুয়েত, কাতার, ওমান ও রাহরাইন। অর্থাৎ রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে ৮টিই মধ্যপ্রাচ্যের।

সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪২ কোটি ৫৪ লাখ, যুক্তরাজ্য থেকে ১৩৭ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ১১২ কোটি ৫৩ লাখ ও ইতালি থেকে এসেছে ৭৬ কোটি ২৩ লাখ ডলার।

মালয়েশিয়া ও কুয়েত থেকে এসেছে যথাক্রমে ৬৮ কোটি ১৮ লাখ ও ৫৯ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। কাতার থেকে ৫২ কোটি ৬৫ লাখ এবং ওমান থেকে এসেছে ৪৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। বাহরাইন থেকে এসেছে ২৪ কোটি ৬৮ লাখ ডলার।

আরও পড়ুন

Kalbela

Loading...
,