মোবাইলের জন্য ওমানপ্রবাসীর কলেজপড়ুয়া ছেলের কাণ্ড

ভোলার মনপুরায় মোবাইল কিনে না দেওয়ায় বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মো. রাব্বি নামে এক কলেজছাত্র।

সোমবার ভোর ৬টায় উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সালাউদ্দিনের বাড়িসংলগ্ন পুকুরপাড়ে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

পরে সকাল ১০টায় লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা জেলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।

এর আগে মনপুরা থানায় একটি ইউডি মামলা হয় বলে নিশ্চিত করেন মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ।

আত্মহত্যা করা কলেজছাত্র মো. রাব্বি (১৮) উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওমান প্রবাসী মো. সালউদ্দিনের ছেলে।

তিনি সাকুচিয়া আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

জানা গেছে, রোববার রাতে রাব্বি মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার জন্য মায়ের কাছে বায়না করে।

ওই ছাত্রের মা মোবাইল কিনে দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে মা নিজের মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রের বাবা ওমান প্রবাসী সালাউদ্দিনকে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন।

পরে মায়ের মোবাইল ফোনে ওমান প্রবাসী বাবা ওই ছাত্রকে রাগারাগি করেন। ওই ছাত্র রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অভিমান করে ঘর থেকে বের হয়ে যান।

পরে ছেলেকে খুঁজতে বের হন মাসহ প্রতিবেশীরা। একপর্যায়ে খোঁজাখুঁজির পর রাত দেড়টায় বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে গাছের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় রাব্বিকে দেখতে পান।

পরে স্থানীয় চৌকিদার পুলিশকে জানালে ভোর ৬টায় পুলিশ ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে লাশের সুতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা জেলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে মনপুরা থানার ওসি সাইদ আহমেদ জানান, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়। ময়নাতদন্তের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া যায়, কলেজছাত্র রাব্বিকে মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

আরো পড়ুন

Jugantor

Loading...
,