লকডাউনে বাংলাদেশে ফ্লাইট বন্ধ হবে?
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে সাত দিনের কঠোর লকডাউন। এসময় জরুরি সেবা ব্যতীত সকল যান চলাচল, সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
তবে লকডাউনে ফ্লাইট নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড ও রেগুলেশন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে দিক নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত ৪ জুন ঘোষিত নির্দেশনা কার্যকর থাকছে। প্রবাসী কর্মীদের কাজে ফেরার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখছে বেবিচক। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্লাইট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বেবিচক।
শুক্রবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় তথ্য অধিদফরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার জানিয়েছেন, লকডাউনে জরুরি সেবা ব্যতীত সকল সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
জরুরি কারণ ছাড়া বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। এ বিষয়ে বিস্তারিত আদেশ দিয়ে শনিবার (২৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
৪ জুন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সর্বশেষ নির্দেশনা জারি করে। সেই নির্দেশনায় ১৯ দেশের ওপর বিভিন্ন শর্ত দেওয়া হয়েছে। আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, বলেভিয়া, ব্রাজিল, ভারত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, প্যারাগুয়ে, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ও উরুগুয়ে এই ১১ দেশে থেকে বাংলাদেশে আসা যাবে না। এমনকি বাংলাদেশ থেকেও যাওয়া যাবে না।
কুয়েত এবং ওমান থেকে দেশে আসলে তিন দিন হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থাকতে হবে। ৬টি দেশ থেকে আসলে ১৪ দিন হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থাকতে হবে।
দেশগুলো হচ্ছে, বেলজিয়াম, চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, ডেনমার্ক, গ্রীস। নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে আসতে হলে করোনা নেগেটিভ টেস্ট করে নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে। দেশে আসার পর ১৪ দিন হোটেলে নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এজন্য বিদেশ থেকে আসার আগেই হোটেল বুক করতে হবে। ভ্যাকসিন দুই ডোজ নিলেও কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
