লিবিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়নি: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, আমরা সমঝোতা স্মারক সই করেছি ঠিকই কিন্তু এখনও কর্মী যাওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়নি। পদ্ধতি ঠিক না করা পর্যন্ত আমরা কিন্তু কর্মী পাঠাবো না। কেউ পয়সা নেওয়া শুরু করলেও আমি কর্মীদের বলতে চাই, তারা যেন এখনই কোনও আর্থিক লেনদেনে না যায়।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরির খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন

ইমরান আহমদ বলেন, ‘আমরা লিবিয়ার বিষয়ে এ মুহূর্তে কোনও সিদ্ধান্ত নেইনি। আমাদের কোনও কার্যক্রমও নেই। কারণ, তাদের শ্রমমন্ত্রী আসার কথা রয়েছে। কিন্তু কবে আসবে তা আমরা এখনই বলতে পারছি না। আর আমরাও যে এখনই আসতে বলবো, তাও পারছি না। কারণ, সামনে আমাদের নির্বাচন।

এখন নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য ওইদিকে বেশি চিন্তা করতে হচ্ছে। তাদের মন্ত্রী আসার আগে আমাদের এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। কর্মীদের পরামর্শ দিচ্ছি, তারা এখনই যাতে কোনও আার্থিক লেনদেনের মধ্যে না যায়।’

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

মালয়েশিয়ার সমাঝোতা চুক্তি সই হওয়ার এক বছর পর কর্মী যাওয়া শুরু করেছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ঠিক সেভাবে লিবিয়ার শ্রমবাজারের অনেক কর্ম পদ্ধতি ঠিক করা বাকি। এগুলো আগে ঠিক করতে হবে।

এরপর কর্মী নেবে তারা। তারা কী পদ্ধতিতে নেবে সেই কর্মকৌশল ঠিক করে জানাবে। শুধু আমাকে নিশ্চিত করতে হবে, এই কর্মপদ্ধতিতে আমার কর্মীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

লিবিয়া কোন কোন খাতে কর্মী নিতে পারে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশটি এখন নির্মাণ খাতে কর্মী নিচ্ছে। কারণ আগের বিল্ডিংগুলো সব ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে তারা এখন নতুন করে বিল্ডিং তৈরির কাজ করছে। ফলে তাদের নির্মাণকর্মী অনেক বেশি লাগবে।

আমাদের বেশ কিছু বাঙালি আছে, যারা নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে এবং করবে। স্বাস্থ্য খাতেও তাদের প্রচুর কর্মী প্রয়োজন। এখন দেখা যাক, তারা কোন খাতে কেমন কর্মী নেয়। তারা দক্ষ কর্মী চায়। তাই আমরা তাদের জানিয়ে এসেছি, তারা কোন সেক্টরে কী ধরনের কর্মী চায়, তা যেন আমাদের জানায়।’

লিবিয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না এখনই ওইখানে উৎকণ্ঠা কমে গেছে। কারণ, এখনও লিবিয়াতে পরিস্থিতি অনেকটাই অনিরাপদ।

কিন্তু আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল, শ্রমবাজার যখন পুরোপুরি খুলে যাবে তখন বাংলাদেশ প্রথমে কর্মী পাঠাবে। যাতে আমরা অনেক কর্মী সেখানে পাঠাতে পারি। এখন ওইখানে বেশিরভাগ মিশরের কর্মী কাজ করে। এশিয়ার দিক থেকে তেমন কর্মী নেই।’

লিবিয়াকে ইতালি যাওয়ার রুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি বন্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা তো লিবিয়া নিজেরাই চায় যে তাদের দেশ থেকে ইতালি যাওয়া বন্ধ হোক।

কারণ এতে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের চাইতে তাদের অসুবিধা বেশি। তার জন্য তারাই এটা বন্ধের ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে লিবিয়া হয়ে ইতালিতে বাঙালিরাই বেশি যায়। সে জন্য আমরাও এটা বন্ধের বিষয়ে ভাবছি।’

কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

আরও পড়ুন:

Loading...
,