৩ মাস ধরে সৌদি হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে প্রবাসীর মরদেহ

সৌদি আরবের একটি হাসপাতালের মর্গে প্রায় তিন মাস ধরে পড়ে আছে হুমায়ুন বেপারী নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশির মরদেহ।
গত ২২ জুন সৌদি আরবের একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইভ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
মৃত হুমায়ুন বেপারী রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের কোলা বাজার উদয়পুর গ্রামের বাসিন্দা।
আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় মরদেহ দেশে আনতে পারছে না পরিবার। তাই মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের প্রবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।
জানা গেছে, হুমায়ুন ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ভাগ্য ফেরাতে সৌদি আরব যাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে গত ২০ জুন টনসিলের সমস্যা নিয়ে সৌদি আরবের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন।
সেখানে লাইভ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি গত ২২ জুন মারা যান। মারা যাওয়ার পর তার সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ না হওয়ায় অনিশ্চয়তায় ছিলেন তার পরিবার।
কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন
গত দুইদিন আগে সামাজিক মাধ্যমে নিশ্চিত হন তিনি তিন মাস আগেই মারা গেছেন।
স্বামীর মরদেহ শেষবার দেখার আকুতি জানিয়ে স্ত্রী নুপুর বেগম জানান, পারিবারিক আর্থিক অনটনে দিন যাচ্ছে তাদের। তার ওপর স্বামী হারানোর শোক। মরদেহ ফেরাতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
বসন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমির হোসেন বলেন, তিন মাস আগে হুমায়ুন বেপারী সৌদির একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ।
এরপর থেকেই তার পরিবার কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না। গত কয়েকদিন আগে ফেসবুকের মাধ্যমে জানা যায় হুমায়ুন মারা গেছেন।
কাগজপত্রের কিছু জটিলতার কারণে তার মরদেহ দেশে আনতে একটু সময় লাগছে।
আরও পড়ুন:
গালফ বাংলা
