অ্যাম্বুলেন্সে প্রবাসী স্বামীর লাশ রেখে পালানোর চেষ্টা স্ত্রীর

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার জগতপুর এলাকায় রবিউল হোসেন নামে এক প্রবাসীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার সদরের জগতপুর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

হাসপাতাল থেকে মৃত স্বামীর লাশ অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি নিয়ে আসার পথে পালানোর সময় স্ত্রীকে আটক করে এলাকাবাসী।

কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

নিহতের ভাতিজা মো. সাগর জানান, রবিউল প্রায় ১৮ বছর সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন।

কিছু দিন আগে দেশে এসে স্ত্রী মনি আক্তার নাজমা ও তিন সন্তান নিয়ে কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন নিহত রবিউল ও তার পরিবার।

শনিবার সকালে স্ত্রী মনি আক্তার নাজমা স্বামী রবিউলকে নিয়ে সদর হাসপাতালে যায় এবং সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করলে নাজমা অ্যাম্বুলেন্সে তার লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি জগতপুরে রওয়ানা দেয়।

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

পথে নাজমা নেমে যেতে চাইলে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার দরজা লক করে জগতপুর নিয়ে আসেন।  বাড়ির লোকজন রবিউলের মৃত্যুর কারণ জিজ্ঞেস করলে নাজমা ঠিকমতো উত্তর দিতে পারে নি।

পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে বুড়িচং থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার বলেন, রবিউলের স্ত্রী রবিউলকে নিয়ে প্রথমে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে যান।  সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তারপর তার স্ত্রী লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি বুড়িচংয়ের জগতপুর রওনা দেন। ভরাসার আসার পর রবিউলের স্ত্রীর কাছে একটি ফোন আসলে তখন সে গাড়ি থেকে নেমে যেতে চায়।

কিন্তু আমি গাড়ির দরজা লক করে দিলে সে আর নামতে পারেনি। আমি তাকেসহ জগতপুর নিয়ে আসি। পরে বুড়িচং থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

প্রতিবেশী ফরিদ উদ্দিন বলেন, সব সময় তারা ঝগড়া করতো। এটা পরিকল্পিত হত্যা তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান জানান, ঘটনাটি কোতোয়ালি থানা এলাকায় ঘটেছে। খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে মরদেহটি কোতোয়ালিতে প্রেরণ করেছি। কোতোয়ালি থানা পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আহমেদ সানজুর মোর্শেদ জানান, এ বিষয়টা আমার জানা নেই। খবর নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। 

আরও খবর পড়ুন

ডেইলি বাংলাদেশ

Loading...
,