ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন-মানিগ্রামের নামে প্রতারণা, মূলহোতা সিআইডির জালে ধরা

ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এবং মানিগ্রামের ভুয়া রিসিটে অভিনব প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের একটি দল (সিআইডি)।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. রাসেল। সোমবার সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্সের একটি টিম কুমিল্লার পাঁচথুবি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

বুধবার দুপুরে সিআইপির সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

গ্রেপ্তার মো. রাসেল কুমিল্লা জেলার সদর থানার পাঁচথুবি গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে।

সিআইডি জানায়, ওমর ফারুক একজন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের একজন এজেন্ট ব্যবসায়ী। তিনি তার ভাগ্নে নুরউদ্দিনকে দিয়ে নোয়াখালীতে বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে গ্রাহকদের টাকা লেনদেনের কাজ করান।

২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর একজন কাতার প্রবাসী মোবারক পরিচয় দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ভাগ্নে নুরউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করে।

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

কাতার প্রবাসী মোবারক জানান, কাতার থেকে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এবং মানিগ্রামের মাধ্যমে বেশ কিছু টাকা পাঠাবে।

পাঠানো টাকা গুলো বিকাশ, নগদ এবং রকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশে অবস্থানরত তার আত্মীয় স্বজনের মোবাইল নম্বরে পাঠাতে হবে।

সিআইডির ভাষ্য, কাতার থেকে যথারীতি মোবারক চার লাখ পঁচিশ হাজার টাকা পাঠিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে জমার স্লিপ দিয়ে দেন।

আর ফোনে অনুরোধ করে তাড়াতাড়ি টাকাগুলো তার আত্মীয়-স্বজনদের নির্ধারিত মোবাইল নম্বরে দিয়ে দিতে।

ব্যাংকের সময় শেষ হওয়াতে তখন রিসিটগুলো জমা দিতে পারেনি নুরউদ্দিন। রিসিটগুলো একজন ব্যাংকারকে দেখালে সঠিক বলে জানায়।

সরল বিশ্বাসে নুরুউদ্দিন কাতার প্রবাসী মোবারকের কথায় ব্যাংকে ক্যাশ না করিয়েই সব টাকা বিকাশ, নগদ ও রকেটে পরিশোধ করে দেয়।

সিআইডি বলছে, পরবর্তী দিন ব্যাংকে গিয়ে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এবং মানিগ্রামের রিসিট জমা দিয়ে টাকা ক্যাশ করার সময় জানতে পারে কাতার থেকে কোন টাকা পাঠানো হয়নি।

আর রিসিট সমুহ সবই ভুয়া। নুরউদ্দিন বুঝতে পারে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। পরবর্তীতে মোবারকের নম্বরে যোগাযোগ করলে তাকে আর পাওয়া যায়নি।

সিআইডি বলছে, বিষয়টি নিয়ে ওমর ফারুক (এজেন্ট ব্যবসায়ী) সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারে যোগাযোগ করেন।

সাইবার ইন্টেলিজেন্স টিম অনুসন্ধান করে এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে। গত সোমবার সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্সের একটি টিম কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়।

অভিযানে কুমিল্লার পাঁচথুবি এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের মূল হোতা মো. রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার রাসেলের বরাত দিয়ে সিআইডি বলছে, রাসেল প্রতারণায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার অপর সহযোগী রিপন সৌদি আরবে অবস্থান করছে।

তার কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত চারটি মুঠোফোন, একটি কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, তিনটি সিম এবং নগদ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বাড্ডা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। বাড্ডার থানার মামলা নম্বর- ২২। তারিখ ১৩/০২/২৩। ধারা- ২২(২),২৩(২),২৪(২),২৫(২),২৬(২),৫(২) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন,২০১৮।

তাকে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরও খবর পড়ুন:

ঢাকা টাইমস

Loading...
,