কাতার-সৌদি-আমিরাত শেনজেন স্টাইলে ভিসা চালু করছে

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতোই এবার ‘শেনজেন স্টাইলে’ পর্যটন ভিসা চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে উপসাগরীয় কয়েকটি দেশ।

অভিন্ন ভিসার অধীনে সদস্য সব দেশে পর্যটকদের ভ্রমণের সুবিধাদানের লক্ষ্যেই এ একক ভিসা চালুর আলোচনা শুরু করছে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)-ভুক্ত দেশগুলো।

কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

যদি এই ‘শেনজেন স্টাইলে ভিসা’ চালু হয় সে ক্ষেত্রে পর্যটকরা বিশেষ ভিসার আওতায় উপসাগরীয় অঞ্চলের এই ছয় দেশ (সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন ও ওমান) ভ্রমণ করতে পারবেন, আলাদা করে অন্য ভিসার কোনো প্রয়োজন তাদের পড়বে না।

পর্যটন ও ভ্রমণবিষয়ক বার্ষিক আয়োজন ‘এরাবিয়ান ট্রাভেল মার্কেট’-এ যৌথভাবে এই ঘোষণা দিয়েছেন বাহরাইনের পর্যটনমন্ত্রী ফাতিমা আল সাইরাফি, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের আন্ডার-সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল সালেহ এবং সৌদি পর্যটন কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী ফাহাদ হামিদাদ্দিন।

বাহরাইনের পর্যটনমন্ত্রী ফাতিমা আল সাইরাফি বলেন, ‘আমাদের বিপুল সম্ভাবনা আছে। তাই জিসিসিভুক্ত সব দেশকে একীভূত করা যায় সে প্রচেষ্টা চলছে। ২০২২ সালে আমরা ৯৯ লাখ পর্যটক পেয়েছি। কীভাবে এটা সম্ভব হলো? কারণ, ওই বছর একটি বড় উদ্যোগ নেওয়া হয়, আমরা বাহরাইনকে জিসিসির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ একটি গন্তব্য হিসাবে তুলে ধরি।’ 

পর্যটন আকৃষ্ট করতে জিসিসিভুক্ত সব দেশ ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা নিলে ‘অভাবনীয়’ সাফল্য আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে ফাতিমা আল সাইরাফি জানান, আপাতত সৌদি আরব, আমিরাত ও বাহরাইনে ‘শেনজেন ভিসা’ চালু হচ্ছে। পরে জিসিসির অন্য সদস্যদেরও এই প্রকল্পে যুক্ত করার পরিকল্পনা আছে তাদের।

সৌদি পর্যটন কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী ফাহাদ হামিদাদ্দিন বলেন, জিসিসিভুক্ত দেশগুলো পৃথক গতিতে ভিসা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে ভিসানীতি প্রণয়ন ‘সঙ্গতভাবেই বেশ জটিল’।

তবে পারস্পরিক সহযোগিতাই এ ক্ষেত্রে পরিবর্তনের দিকপাল হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিটি জিসিসিভুক্ত দেশের সফলতা অন্য দেশগুলোর সহায়ক হবে।

এসব বিষয়ে আলোচনা চলমান থাকার কথা উল্লেখ করে বাহরাইনের পর্যটনমন্ত্রী আল সাইরাফি বলেন, উপসাগরীয় অঞ্চলে শেনজেনের মতো ভিসা চালু করা থেকে বিশাল সুবিধা পাওয়া যাবে এটা সবাই উপলব্ধি করছে।

আরও পড়ুন:

আল আরাবিয়া

Loading...
,