নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল কাতার, আবার রপ্তানি হবে দেশি মাছ

বাংলাদেশ থেকে হিমায়িত মাছ আমদানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে কাতারের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর ফলে পাঁচ মাস পর মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে আবার মাছ রপ্তানির বন্ধ দুয়ার খুলছে।

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

বিশ্বকাপ ফুটবলের আগে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমারসহ কয়েকটি দেশের মাছ আমদানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল কাতার সরকার।

বাংলাদেশের মৎস্য অধিদপ্তর গত সপ্তাহে মৎস্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানিকারকদের এক চিঠিতে জানায়, কাতারের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশের হিমায়িত মাছ আমদানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। তবে আকাশপথে হিমায়িত সামুদ্রিক মাছ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে।

কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

অবশ্য বিশ্বকাপের আগে কী কারণে বাংলাদেশ থেকে মাছ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি কাতার।

এমন তথ্য দিয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মাছ রপ্তানিতে মধ্যপ্রাচ্য আমাদের জন্য বড় বাজার। তবে কাতার একক দেশ হিসেবে বড় নয়। যদিও আমাদের কোনো মাছের চালানে কোনো সমস্যার কারণে রপ্তানি বন্ধ হয়নি। তৃতীয় একটি দেশের চালান পরীক্ষায় জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান পাওয়ার পরই ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ফিলিপাইনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় কাতার। এখন আবার সব দেশের ওপর থেকেই একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়েছে।’

কাতারে ১৫ বছর ধরে নিয়মিত মাছ রপ্তানি করে চট্টগ্রামের এনরাজ ফিশ প্রোডাক্টস। মাসে তারা ২৫ টন কাচকি, তেলাপিয়া, নলা, পোয়াসহ বিভিন্ন মাছ রপ্তানি করে থাকে, যার দাম ৫৫-৬০ হাজার মার্কিন ডলারের মতো।

কাতার যখন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তখন তাদের একটি চালান জাহাজে ছিল। পরে সেই মাছ অন্য দেশে পাঠায় প্রতিষ্ঠানটি।

জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী অধীর রঞ্জন দাশ বলেন, ‘কাতারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাদের মাছের মূল ক্রেতা। নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার পর কাতারের আমদানিকারক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমরা ইতিমধ্যে আমাদের কারখানায় মাছ প্রক্রিয়াকরণের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, আগামী মাসেই মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে আমরা মাছ রপ্তানি করতে পারব।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৬৯৫টি চালানে কাতারে মোট ১ হাজার ৭০০ টন মাছ পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

এই মাছ রপ্তানি করে বাংলাদেশের আয় হয়েছিল ৪ কোটি ২৩ লাখ ডলার।

আরো পড়ুন

Loading...
,