মাদারীপুরে ‘রিভলবারের আঘাতে’ নারীর মাথা ফাটালেন বিচারকের দেহরক্ষী

মাদারীপুরে এক বিচারকের দেহরক্ষীর রিভলবারের বাটের আঘাতে গুরুতর আহত এক নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

সাদিয়া ইসলাম (৩৫) নামে ওই নারীর মাথায় ছয়টি সেলাই দিতে হয়েছে, যিনি এখন মাদারীপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত ওই নারী, তার স্বামী ইতালি প্রবাসী রাকিবুল হাসান ও স্বজনদের অভিযোগ, গত শুক্রবার রাতে বাণিজ্য মেলায় নৌকার দোলনায় ওঠার সময় জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম মামুনুর রশীদের সন্তানকে জায়গা ছেড়ে না দেওয়ায় বিচারকের দেহরক্ষী মো. ইব্রাহীম এ ঘটনা ঘটায়।

কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

তাদের দাবি, শিল্প-সংস্কৃতি ও বাণিজ্য মেলায় শিশুদের চড়ার জন্য নৌকার দোলনায় ওঠার সময় বিচারকের সন্তানকে ‘ভিআইপি যাত্রী’ দাবি করে তাকে আসন ছেড়ে দিতে বলেছিলেন ওই দেহরক্ষী।

ভুক্তভোগী সাদিয়া তাতে রাজি না হওয়ায় বাকবিতণ্ডা এবং ওই নারীর সঙ্গে হাতাহাতির এক পর্যায়ে রিভালবারের বাট দিয়ে আঘাত করেন ওই দেহরক্ষী।

জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেছেন, “এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ না দিলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন ঘটনাটির সঠিক তদন্ত করা হবে জানিয়ে বলেন, অভিযুক্ত দোষী হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে সংশ্লিষ্টরা জানান, ইতালি প্রবাসী স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে মেলায় ঘুরতে আসেন ডাসার উপজেলার পশ্চিম মাইজপাড়া গ্রামের সাদিয়া বেগম।

তিনি সন্তানদের নিয়ে আগে ওঠেন নৌকা আকৃতির দোলনায়। এসময় বিচারকের সন্তানকে নিয়ে সেখানে যাওয়া দেহরক্ষী ইব্রাহিম ওই নারীকে তার সন্তানদের নামাতে বলেন। সাদিয়া তাতে রাজি হননি।

তখন ইব্রাহিম ‘এই বাচ্চা ভিআইপি যাত্রী’ তাকে আগে উঠতে দিতেই হবে দাবি করলে তাদের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

এরপর দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে ইব্রাহিম রিভলবারের বাট দিয়ে সাদিয়াকে আঘাত করলে মাথা ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। পরে তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতলে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী রাকিবুল হাসান বিচারকের দেহরক্ষীসহ জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন।

তার অভিযোগ, “আমার স্ত্রীকে যখন হামলা করে আহত করে। তখন আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও আঘাত করে আহত করা হয়েছে। একজন বিচারকের দেহরক্ষী হওয়ার কারণে অন্যায়ভাবে আমাদের উপরে হামলা করেছে। এই ঘটনায় আমরা ন্যায় বিচার পাব কি না জানি না। তবে সরকারের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি।”

সাদিয়া বেগম বলেন, ম্যাজিষ্ট্রেটের দেহরক্ষী ইব্রাহিম প্রথমে কিল-ঘুষি দেন এবং পরে বন্দুক বের করে মাথায় একাধিক আঘাত করেন আমাকে।

রাকিবুল জানান, তারা এখনও থানায় মামলা দায়ের করেননি।

“রোববার আমার শ্বশুরবাড়ি কোটালীপাড়া থেকে কিছু আত্মীয় স্বজন আসবেন। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব,” যোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে দেহরক্ষী ইব্রাহিমের বক্তব্য জানা যায়নি।

আরো পড়ুন

Loading...
,