সৌদির সঙ্গে ৯৫ বছর ধরে রোজা হচ্ছে চাঁদপুরে

হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের পির সাহেব মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘বুধবার সৌদি আরবে রোজা রাখার উদ্দেশ্যে তারাবি নামাজ আদায় হয়েছে। তাই সাদ্রাসহ চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে প্রতি বছরের ন্যয় এবারও আমরা আজ রোজার উদ্দেশে তারাবি নামাজ পড়েছি।’

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে রোজা শুরু হয়েছে।

সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৪০টি গ্রামে ইতোমধ্যে রোজার প্রথম তারাবির নামাজ আদায় করা হয়েছে। ৪০টি গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ বৃহস্পতিবার রমজানের প্রথম রোজা রাখছেন।

আরব দেশসমূহের সঙ্গে মিল রেখে ১৯২৮ সালে আগাম রোজা রাখাসহ দুই ঈদের উৎসব, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালনের নিয়ম চালু করেন সাদ্রা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইসহাক চৌধুরী।

কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

প্রায় ৯৫ বছর আগে এ প্রথা চালু হলেও এখন ৪০টি গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ একদিন আগে ঈদ ও তারাবির নামাজ আদায় করে রোজা রাখেন।

জেলায় রমজানের রোজা রাখার উদ্দেশ্যে অগ্রিম তারাবির নামাজ আদায় করা গ্রামগুলো হলো, হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির বেশ কয়েকটি গ্রাম।

এ ছাড়াও চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল,পটুয়াখালী, বরগুনা, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রাম জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে তারাবির নামাজ আদায় করে রোজা রাখেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের পির সাহেব মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘বুধবার সৌদি আরবে রোজা রাখার উদ্দেশ্যে তারাবি নামাজ আদায় হয়েছে।’

‘তাই সাদ্রাসহ চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে প্রতি বছরের ন্যয় এবারও আমরা আজ রোজার উদ্দেশে তারাবি নামাজ পড়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আজ থেকে ৯৫ বছর আগে আমার দাদা মাওলানা ইসহাক (রা:) হানাফী মাযহাবের এই সিদ্ধান্তটি জানিয়ে এই এলাকার সমস্ত আলেমদের নিয়ে সভা করে সবার সম্মতিক্রমে হাজীগঞ্জ উপজেলার বিশাল এই এলাকা নিয়ে একদিন আগে রোজা রাখা শুরু করেন। তবে খুশির খবর, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আজকে তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

তিনি বলেন, ‘হানাফী মাযহাবের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্বের যে কোন প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিচারকরা বিচার করে যদি সঠিক বলে মনে করে আর ওই খবর যদি মুসলিম বিশ্ব গ্রহণযোগ্য মনে করে তাহলে সেই খবরের উপর ভিত্তি করে আমাদের রোজা সহ ঈদ উৎসব হয়।’

আরো পড়ুন

NewsBangla

Loading...
,