ইসরায়েল গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি আটকে দিচ্ছে: কাতার

Loading...

ইসরায়েল গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি আটকে দিচ্ছে: কাতার

ইসরায়েলি সরকারের অবস্থান গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি।

তিনি বলেন, কাতার সংঘাত শুরুর পর থেকেই মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে এবং এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

জাতীয় কাতার টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘কাতার এই সংঘাতের শুরু থেকে মধ্যস্থতা করে আসছে, আমরা গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এটি করছি।

কাতারের সব আপডেট পেতে জয়েন করুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে

Loading...

কিন্তু দুঃখজনকভাবে, একটি চুক্তির জন্য উভয় পক্ষের সম্মতি প্রয়োজন। এক পক্ষের কোনো চুক্তি করার ইচ্ছা নেই।

মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা যতই চেষ্টা করি না কেন, ফলাফল একই থাকে। আপনারা জানেন, এই বাধাগুলোর একটি বড় কারণ ইসরায়েলি পক্ষ, বিশেষত সাম্প্রতিক সময়ে।’ খবর তাসের।

শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি জোর দিয়ে বলেন, কাতার ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে তার ‘সুস্পষ্ট, সুসংগত এবং সুপরিচিত’ অবস্থান বজায় রেখেছে। তবে তাদের মধ্যস্থতা সবসময় ‘সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং সদিচ্ছা’ নিয়ে পরিচালিত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কাতার এই সংঘাতের সমাধানের জন্য তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

গত ১৫-১৬ আগস্ট, দোহায় গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে একটি নতুন দফার আলোচনার আয়োজন করা হয়।

আলোচনার পর মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, আলোচনাগুলো ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নতুন দফার আলোচনায় ওয়াশিংটন হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে বিরোধ কমানোর প্রস্তাব উন্মোচন করে। তবে পরে হামাস জানায় যে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগটি শুধু ইসরায়েলের স্বার্থকেই সুরক্ষা দিচ্ছে।

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে দেখুন চাকরির খবর

Loading...

এরপর, ২৫ আগস্ট মিশরের রাজধানী কায়রোতে আরেক দফা আলোচনা হয়। হামাসের মুখপাত্র ইজাত আল-রিশেক জানান, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর হামাসের প্রতিনিধিদল কায়রো ত্যাগ করে।

তিনি বলেন, হামাস দাবি করেছে যে ইসরায়েল ২ জুলাইতে যে শর্তগুলোতে সম্মত হয়েছিল তা পূরণ করতে হবে।

১৭ সেপ্টেম্বর কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, এই আলোচনাগুলোতে এখনো তেমন কোনো বড় পরিবর্তন আসেনি।

ভোরের কাগজLive

Loading...

Loading