সৌদিতে হোটেল কক্ষ বেড়েছে ১০৭%
Loading...
সৌদিতে হোটেল কক্ষ বেড়েছে ১০৭%
সৌদি পর্যটন খাতে হোটেল কক্ষের সংখ্যা এক বছরের ব্যবধানে প্রায় ১০৭ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) হোটেল কক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ২০০টি। গত বছরের একই সময় এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার ৬০০টি।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
পর্যটন খাতে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে সৌদি আরব। দেশটি ‘ভিশন ২০৩০’ প্রকল্পের অধীনে চলতি দশকের মধ্যে বার্ষিক পর্যটকের সংখ্যা ১৫ কোটিতে উন্নীত করতে চায়।
Loading...
জ্বালানি তেলের ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার উদ্দেশ্যেই মূলত ভিশন ২০৩০ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সৌদি সরকার। আর বৈচিত্র্য আনার ক্ষেত্রে ও জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে পর্যটন খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অবকাঠামো ও পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে এক ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি আরব সরকার। এর মধ্যে ‘রেড সি’ ও ‘নিওম’ প্রকল্পও রয়েছে, যেখানে ৫০ হাজার কোটি ডলারের মতো ব্যয় হবে।
আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণে ভিসা কর্মসূচি সহজ করার প্রকল্পও হাতে নিয়েছে সৌদি সরকার। তারা বিভিন্ন হেরিটেজ এলাকা, বিলাসবহুল রিসোর্ট ও সংস্কৃতি অঙ্গনে পর্যটনসংশ্লিষ্ট ১০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করতে চায়।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
গত ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরবের পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল-খতিব বলেন, ‘আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে হোটেল কক্ষের সংখ্যা আরো আড়াই লাখ বাড়াতে চাই। এর মধ্যে ৭৫ হাজার কক্ষ নির্মাণ করা হবে বেসকারি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে।’
Loading...
মন্ত্রী জানান, ২০২৩ সাল শেষে দেশটিতে হোটেল কক্ষের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৮০ হাজারের মতো। এ সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে সাড়ে পাঁচ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
দেশটির সরকারি তথ্যে জানা গেছে, দেশটির জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান বেড়ে ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর জ্বালানি তেলবহির্ভূত জিডিপিতে পর্যটনের অবদান দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশ।
Loading...
আল-খতিব বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক পর্যটকের সংখ্যা ১০ কোটিতে উন্নীত করার যে লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছিল, তা পূরণ হয়েছে।
চলতি বছরও পর্যটকের সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে স্থানীয় পর্যটকের সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৭০ লাখ। বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৭০ লাখের বেশি।’
Loading...