মিয়ানমারে কিডনি বিক্রি বেড়েছে
Loading...

মিয়ানমারে কিডনি বিক্রি বেড়েছে
মিয়ানমারের গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দারা আর্থিক সংকটের কারণে মরিয়া হয়ে নিজেদের কিডনি বিক্রি করে দিচ্ছেন। দেশটিতে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর জটিল হয়ে ওঠা রাজনৈতিক পরিস্থিতি জনগণের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। খবর: বিবিসি।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করেছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি) জানিয়েছে, ২০১৭ সালে দেশটির এক-চতুর্থাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল, কিন্তু ২০২৩ সালে তা বেড়ে অর্ধেক হয়েছে।
Loading...
দারিদ্র্যের কারণে অর্থাভাবে কিডনি বিক্রির ঘটনা সম্প্রতি কয়েক বছরে এশিয়া জুড়ে বিভিন্ন দেশেই নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নেপাল, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান, ভারত এবং বাংলাদেশ। ভারত চিকিৎসা গ্রহণের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে পরিচিত।
তবে সাম্প্রতিক পুলিশি তদন্ত ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের পর দেশটিতে কিডনি বিক্রি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। গত জুলাইয়ে ভারতীয় পুলিশ কিডনি পাচারের অভিযোগে এক চিকিৎসক ও তার সহকারীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এ চক্র কিডনি বিক্রির ব্যবস্থা করত এবং প্রতিস্থাপনের অনুমোদন পেতে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করত।
মিয়ানমারের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. থুরিন হ্লাইং উইন বলেন, আইন কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, দাতাদের অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি, কারণ এতে রক্তপাত ও অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতির মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
Loading...
এছাড়া অস্ত্রোপচারের পর দাতাদের জন্য পর্যাপ্ত ফলো-আপ চিকিৎসা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী অঙ্গ প্রতিস্থাপনের হার ৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে প্রতি বছর আনুমানিক ১ লাখ ৫০ হাজার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। তবে সংস্থাটি বলছে, বিশ্বে অঙ্গ সরবরাহ চাহিদার মাত্র প্রায় ১০ শতাংশই পূরণ করতে পারে । প্রায় সব দেশেই মানব দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবসা অবৈধ এবং তা পরিমাপ করাও কঠিন।
Loading...
২০০৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমান করেছিল, বিশ্বব্যাপী প্রতিস্থাপিত অঙ্গের ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ কালোবাজার থেকে আসে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
আরও পড়ুন
Loading...
