বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার পাকিস্তানের
Loading...

বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার পাকিস্তানের
ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকি বলেন, ‘বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর থেকে সব ধরনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা এরই মধ্যে প্রত্যাহার করে নিয়েছে পাকিস্তান। সকল ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে সম্মত হয়েছে উভয় দেশ।’
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
বাংলাদেশিদের ওপর থেকে সব ধরনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পাকিস্তানের হাই কমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকির সৌজন্য সাক্ষাতের পর বৃহস্পতিবার ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশন থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
Loading...
এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর থেকে সব ধরনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা এরই মধ্যে প্রত্যাহার করে নিয়েছে পাকিস্তান। সকল ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে সম্মত হয়েছে উভয় দেশ।’এই সিদ্ধান্ত দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশ দুটির শীতল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে লিখেছে আল-জাজিরা।
শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সিদ্দিকি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সিকে জানান, বাংলাদেশের দিক থেকেও সিদ্ধান্ত দেখতে অপেক্ষা করছেন তিনি। সিদ্দিকি বলেন, ‘পাকিস্তানি নাগরিকদের ওপর বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল। আর এই কারণেই আমি প্রতিমন্ত্রীকে জানিয়েছি যে, আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা এরই মধ্যে প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’
এক সময় এক দেশ হয়ে থাকলেও ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভ করে বিশ্বের মানচিত্রে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। এরপর থেকেই দেশ দুটির মধ্যে বৈরী সম্পর্ক বিদ্যমান। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করলে টানাপোড়েন চরমে পৌঁছায়।
Loading...
মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বৃহত্তম ইসলামপন্থি দল জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানি সেনাদের পক্ষ নেয়। তাদের সহায়তায় বাঙালি নিধনে নামে পাকিস্তানি সেনারা।ওই সময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সহায়তায় পাশে দাঁড়ায় পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। নয় মাসের যুদ্ধ শেষে অভ্যূদয় হয় বাংলাদেশের।
স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদীগুলোর পানি নিয়ন্ত্রণ, সীমান্তে নীরহ বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা এবং বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) পাসের জেরে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব বেড়েছে।
গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হঠাৎ করেই ফোন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইরমান খান। বিষয়টি সবাইকে অবাক করে। বাংলাদেশ সরকারও নিজেদের পররাষ্ট্র নীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়’ মনে করিয়ে দিচ্ছে সবাইকে।
Loading...
পাকিস্তান হাইকমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় মুক্তিযুদ্ধে হত্যাযজ্ঞের দায়ে বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে ক্ষমা চাইতে আহ্বান জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পত্তির ভাগ বুঝিয়ে দেয়ার দাবিও তুলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কোনো দেশ বিভক্ত হয়ে পড়লে বা স্বাধীন হলে দেশটির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিও বণ্টন হয়ে থাকে। অবিভক্ত পাকিস্তানের সম্পদের একটি অংশ বাংলাদেশের প্রাপ্য হলেও স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও ঢাকা কোনো সম্পদ পাকিস্তানের কাছ থেকে পায়নি।
ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যক্রম পরিচালনা কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধে সরকারি ও বেসরকারি খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১.২ বিলিয়ন ডলার।
Loading...
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাব পাকিস্তানের কাছে চার বিলিয়ন ডলার চেয়েছিল।
আরও পড়ুন
Loading...
