ঈদ উৎসবে ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে সুস্থ থাকবেন

Loading...

ঈদ উৎসবে ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে সুস্থ থাকবেন

আর মাত্র কদিন পরেই ঈদ-উল-ফিতর। উৎসব মানেই মিষ্টিমুখ। তাই যেকোনো উৎসবেই বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় খাবারের আয়োজন করা হয়। এই উৎসবের আয়োজন ঘিরেও ব্যতিক্রম নয়। তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তারা এইসব খাবার স্বাভাবিকভাবেই এড়িয়ে চলতে চান।

ঈদে বিভিন্ন ধরনের সেমাই, জর্দা খাওয়া স্বাভাবিক হলেও রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। তাই সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকতে আগে থেকেই খাবার নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। মিষ্টি খাবার খেতে ইচ্ছা করলে ফল, বাদাম, খেজুর বা বীজ খেতে পারেন।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

Loading...

চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদরা ডায়াবেটিস আক্রান্তদের বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো:

পরিকল্পনা

ঈদের আগেই নিজের খাদ্যতালিকা নির্ধারণ করে রাখুন। সকালের নাস্তা, দুপুর বা রাতের খাবারে যা খাবেন তা চিনিমুক্ত রাখা নিশ্চিত করুন। ঈদ-উল-ফিতরের বিশেষ আয়োজনে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পূর্বেই যোগাযোগ করতে পারেন।

খাদ্য বাছাই

ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি এবং মিষ্টান্ন রান্না করার সময় চিনি ব্যবহার করা এড়িয়ে চলা ভালো। এর পরিবর্তে সুগার ফ্রি বা লো সুগার কোনো সুইটেনার দিয়ে রান্না করুন। এখন এগুলো বাজারে সহজেই কিনতে পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভালো হয় তাজা ফল খেলে। মৌসুমী তাজা ফল প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হয় এবং ফাইবারে পরিপূর্ণ থাকে। এতে শরীরে পুষ্টির জোগানও হয় আবার রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

Loading...

কার্বোহাইড্রেট

শুধু চিনি নয়, কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা কতটুকু খাচ্ছেন সেদিকে মনোযোগ দিন। ঈদে পোলাও, বিরিয়ানি এমন খাবারের পরিমাণও বেশি থাকে। এছাড়া মাংস তো রয়েছেই। অনেকে কাবাবও তৈরি করে থাকেন। রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে খাবারে চর্বিহীন প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবারের ভারসাম্য বজায় রাখুন।

হাঁটাচলা করুন

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারের পরে অল্প হাঁটাহাঁটি করুন। হালকা ব্যায়ামও করতে পারেন। প্রিয়জনের সঙ্গে আরও ভালো সময় কাটাতে বাইরে খেলাধুলা করতে পারেন। সকলে মিলে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন।

Loading...

পর্যাপ্ত পানি পান

হাইড্রেটেড থাকার জন্য প্রচুর পানি পান করুন। এখন যেহেতু গরম পড়ে গেছে তাই পানি পান করতে হবে ঘন ঘন। বিশেষ করে যদি আপনি শারীরিক পরিশ্রম করেন তাহলে পানির চাহিদা বেড়ে যাবে। আর অতিরিক্ত চিনিযুক্ত কোমল পানীয় পান না করাই ভালো। এর পরিবর্তে ভেষজ চা বা চিনিমুক্ত পানীয় বেছে নিন।

আরও খবর

Dhakatribune.com

Loading...

Loading