ট্রাম্পকে দেয়া কাতারের উপহার: ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বোয়িংকে এয়ার ফোর্স ওয়ানে রূপান্তর শুরু
Loading...

ট্রাম্পকে দেয়া কাতারের উপহার: ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বোয়িংকে এয়ার ফোর্স ওয়ানে রূপান্তর শুরু
কাতার সরকারের পক্ষ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবহারের জন্য একটি জাম্বো জেট উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বিবিসি’র মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, এই বোয়িং বিমানটিকে এয়ার ফোর্স ওয়ান হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করার কাজ চলছে।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
Loading...
প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের এই বিমানটি কাতার সরকার ‘বিনা শর্তে’ উপহার হিসেবে দিয়েছে। তবে, এটিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পরিবর্তন ও সংস্কারের খরচ বহন করবে মার্কিন সরকার।
এই চুক্তিটি ট্রাম্পের সমালোচক এবং এমনকি কিছু সমর্থকের মধ্যেও তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে এটিকে একটি বিদেশি শক্তির কাছ থেকে ‘ঘুষ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
হোয়াইট হাউস অবশ্য জোর দিয়ে বলেছে যে এই বিমান গ্রহণ করা আইনসম্মত। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়ার পর বিমানটি তার প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিতে দান করা হবে।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
Loading...
সাধারণত মার্কিন আইনে কোনো সরকারি কর্মকর্তা বিদেশি সরকারের কাছ থেকে ৪৮০ ডলারের বেশি মূল্যের উপহার গ্রহণ করতে পারেন না। তবে কাতার ও মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকে বলা হয়েছে, এই বিমানটি ‘যেমন আছে তেমনভাবে’ হস্তান্তর করা হবে এবং এর রূপান্তরের পুরো দায়িত্ব নেবে পেন্টাগন। বিমানটিতে নজরদারি বা গুপ্তচর যন্ত্রপাতি আছে কি না তা পরীক্ষা করাও হবে।
নথিতে বলা হয়েছে, ‘এই সমঝোতা স্মারকের কোনো কিছুই ঘুষ, অযাচিত প্রভাব বা দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপের কোনো প্রস্তাব, প্রতিশ্রুতি বা স্বীকৃতি হিসেবে ব্যাখ্যা করা হবে না।’ উভয় পক্ষই নিশ্চিত করেছে যে এটি একটি উপহার।
Loading...
চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাতারের এই বিমান গ্রহণের খবর প্রকাশের পর থেকেই মার্কিন রাজনৈতিক অঙ্গনের উভয় পক্ষ থেকেই তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে, যার মধ্যে ট্রাম্পের রক্ষণশীল সমর্থকরাও ছিলেন।
তবুও, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই মার্কিন রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। এমনকি ট্রাম্পের রক্ষণশীল সমর্থকরাও এর বিরোধিতা করছেন। ডেইলি ওয়ায়ারের রক্ষণশীল ভাষ্যকার বেন শ্যাপিরো বলেন, ‘প্রযুক্তিগত ভাষায় একে বলা হয় “সন্দেহজনক”।’ তার দাবি, কাতার নিছক সদিচ্ছা থেকে এত বড় উপহার দিচ্ছে, এমনটা ভাবা বোকামি।
ডানপন্থী প্রভাবশালী সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব লরা লুমার বলেছেন, এই বিমান গ্রহণ করা প্রশাসনের জন্য একটি ‘কলঙ্ক’ হবে। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে বিবিসি।
Loading...
কেন নতুন এয়ার ফোর্স ওয়ান প্রয়োজন?
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যাতায়াতে ব্যবহার করেন দুটি ৭৪৭-২০০ মডেলের বিমান, যেগুলো ১৯৯০ সাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পাশাপাশি আরও কিছু ছোট ৭৫৭ বিমানও রয়েছে, যেগুলোর কার্যকারিতা তুলনামূলক গোপন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প সরাসরি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বোয়িং কোম্পানির ওপর, কারণ নতুন দুটি এয়ার ফোর্স ওয়ানের ডেলিভারি নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন তিনি। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা বিমান কিনে নিতে পারি, বা পেতে পারি – কিছু একটা করা হবে।’
Loading...
এটি কি আইনত গ্রহণযোগ্য?
ট্রাম্প কাতারের দেওয়া উপহারকে ‘চমৎকার অঙ্গভঙ্গি’ বলেছেন এবং মন্তব্য করেছেন, ‘এটা না গ্রহণ করাটা বোকামি হবে।’ কিন্তু সমালোচকদের দাবি, এটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘনের সামিল।
ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট সিনেটর অ্যাডাম শিফ সংবিধানের একটি অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, কোনো নির্বাচিত কর্মকর্তা কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া বিদেশি সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের উপহার গ্রহণ করতে পারেন না।
হোয়াইট হাউস অবশ্য বলেছে, ‘এই দানের আইনি দিকগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে যেকোনো অনুদান আইনের পূর্ণ মেনে চলেই গ্রহণ করা হয়।’
Loading...
ট্রাম্প পরামর্শ দিয়েছেন, ভবিষ্যতে বিমানটি প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরিতে যুক্ত করা হবে, যেখানে নথিপত্র সংরক্ষণের পাশাপাশি একটি ব্যক্তিগত তহবিলে পরিচালিত জাদুঘরও থাকবে।
রেট্রোফিট করতে কত খরচ পড়বে?
বিমানটিকে এয়ার ফোর্স ওয়ান বানাতে ব্যয় হতে পারে বিপুল অর্থ। এতে আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আকাশপথে পুনরায় জ্বালানি ভরার সক্ষমতা এবং পারমাণবিক বিস্ফোরণের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পালস থেকে সুরক্ষা ব্যবস্থা যুক্ত করতে হবে।
Loading...
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব রূপান্তর ব্যয় কয়েকশো মিলিয়ন ডলার থেকে শুরু করে এক বিলিয়ন পর্যন্ত হতে পারে। সিবিএসকে একজন অজ্ঞাতনামা প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, এ খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ পুরোনো আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনা প্রকল্প ‘সেন্টিনেল’ থেকে সরিয়ে আনা হতে পারে।
আরও পড়ুন
- ঝুঁকির মধ্যে শাহজালালের রানওয়ে
- অবৈধভাবে বসবাসরত প্রবাসীদের সুখবর দিল ওমান
- ট্রাম্পকে দেয়া কাতারের উপহার: ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বোয়িংকে এয়ার ফোর্স ওয়ানে রূপান্তর শুরু
- শাহজালাল বিমানবন্দরে একজন যাত্রীর সঙ্গে দুজনের বেশি প্রবেশ নিষিদ্ধ
- নির্ধারিত সময়ে চালু হচ্ছে না কক্সবাজার এয়ারপোর্টের আন্তর্জাতিক টার্মিনাল
Loading...
