মার্কিন বিমানঘাঁটিতে সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করবে কাতার

Loading...

যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহো অঙ্গরাজ্যের একটি বিমানঘাঁটিতে কাতারের বিমানবাহিনীর জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে দুই দেশ।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) পেন্টাগনে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হিগসেথ ও কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ সৌদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি।

কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

Loading...

বৈঠকে পিট হিগসেথ জানান, কাতারের এফ-১৫ যুদ্ধবিমান ও পাইলটদের নিয়ে আইডাহোর মাউন্টেন হোম বিমানঘাঁটিতে একটি সম্মিলিত প্রশিক্ষণ সুবিধা স্থাপন করা হবে। এতে দুই দেশের সামরিক সহযোগিতা আরও গভীর হবে এবং যৌথ যুদ্ধ সক্ষমতা ও কৌশলগত সমন্বয় বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরও বলেন, “গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় কাতারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়া আর কেউ গাজায় এমন শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে পারতেন না, আর কাতার শুরু থেকেই এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।”

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

Loading...

কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ সৌদ আল-থানিও গাজা ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের প্রশংসা করেন।

তবে যুক্তরাষ্ট্রে কাতারের মিডিয়া অ্যাটাশে আলি আল-আনসারি স্পষ্ট করেছেন, এটি কাতারের কোনো স্থায়ী বিমানঘাঁটি নয়। তিনি বলেন, “কাতার একটি বিদ্যমান মার্কিন ঘাঁটির ভেতরে বিশেষায়িত স্থাপনা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০ বছরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর উদ্দেশ্য উন্নত প্রশিক্ষণ এবং পারস্পরিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি।”

ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন এখানে

Loading...

আনসারি আরও জানান, এই ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলোর বিদ্যমান প্রশিক্ষণ চুক্তিগুলোর মতোই — যেমন সিঙ্গাপুর, তুরস্ক ও ন্যাটো দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রে অনুরূপ স্থাপনা পরিচালনা করে।

বর্তমানে কাতারে অবস্থিত আল-উদায়েদ ঘাঁটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি। ২০২২ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কাতারকে “ন্যাটোর বাইরে প্রধান মিত্র” হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে গাজা যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতার ভূমিকা পালনের সময় কাতার একাধিক বিদেশি হামলার মুখে পড়েছে। গত জুনে ইরান আল-উদায়েদ ঘাঁটিতে হামলা চালায়, আর সেপ্টেম্বরে ইসরায়েল দোহায় হামাস প্রতিনিধিদের এক বৈঠকের স্থানে হামলা করে, যাতে কাতারের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য নিহত হন।

Loading...

কাতারের প্রধানমন্ত্রী ওই হামলাকে “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস” বলে নিন্দা জানান, আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইসরায়েলের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেন।

এর পরপরই ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যাতে বলা হয় — কাতারের ভূখণ্ড, সার্বভৌমত্ব বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় যেকোনো আক্রমণ যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে গণ্য হবে, এবং প্রয়োজন হলে ওয়াশিংটন সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আরো পড়ুন

Loading...

Loading