তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করতে চান ট্রাম্প

Loading...

তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করতে চান ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন তিনি ‘তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করবেন।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

ওয়াশিংটনে এক আফগান অভিবাসীর গুলিতে ন্যাশনাল গার্ডের এক সদস্য মারা যাওয়ার পর এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর রয়টার্স।

কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

Loading...

‘তৃতীয় বিশ্বের দেশ’ বলতে কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা দেশগুলোর নাম উল্লেখ করেননি ট্রাম্প। কিংবা ‘তৃতীয় বিশ্বের দেশ’ ও ‘স্থায়ীভাবে স্থগিত’ করা বলতে ঠিক কী বোঝাচ্ছেন সে বিষয়ও স্পষ্ট করেননি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এ পরিকল্পনার আওতায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময় অনুমোদিত মামলাগুলোও থাকবে।

Loading...

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করব, যাতে যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়।

বাইডেনের আমলে হওয়া অবৈধ লক্ষাধিক অনুমোদন বাতিল করব। স্লিপি জো বাইডেনের অটোপেন দিয়ে সই করা অনুমোদনও এর বাইরে নয়। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কোনো সম্পদ নয় এমন যে কাউকে বের করে দেব।’

Loading...

ডোনাল্ড ট্রাম্প আরো বলেন, তিনি ‘নাগরিক নন’ এমন যে কারো জন্য সব ফেডারেল সুবিধা ও ভর্তুকি বন্ধ করে দেবেন। ‘যারা দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি নষ্ট করে’ এমন অভিবাসীদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে।

যেসব বিদেশীকে নিরাপত্তা ঝুঁকি বা ‘পাশ্চাত্য সভ্যতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ বলে মনে হবে তাদেরও বহিষ্কার করা হবে।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

Loading...

হোয়াইট হাউজের কাছে ন্যাশনাল গার্ড সদস্য সারা বেকস্ট্রমের (২০) মৃত্যুর পর এভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আহত আরেক গার্ডম্যান অ্যান্ড্রু উলফের (২৪) অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ন্যাশনাল গার্ডের এ দুই সদস্যকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত রহমানুল্লাহ লাখানওয়াল ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানদের জন্য বিশেষ অভিবাসন সুরক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। সে কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে আসেন লাখানওয়াল।

Loading...

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বাইডেন প্রশাসনের সময়ে অনুমোদিত আশ্রয় আবেদন ও ১৯টি দেশের নাগরিকদের দেয়া গ্রিন কার্ড পুনরায় পর্যালোচনার নির্দেশও দিয়েছেন ট্রাম্প।

মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সংস্থার প্রধান জোসেফ এডলো জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন।

Loading...

প্রেসিডেন্টের নির্দেশনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে জোসেফ এডলো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও তার জনগণের সুরক্ষা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ববর্তী প্রশাসনের বেপরোয়া পুনর্বাসন নীতির খেসারত যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ দেবে না।’

গ্রিনকার্ডের এ পুনঃপর্যালোচনা কীভাবে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য পোস্টে উল্লেখ করা হয়নি। ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন, যেসব দেশ নিয়ে উদ্বেগ আছে, সেসব দেশ থেকে আসা প্রত্যেকের গ্রিন কার্ড পূর্ণাঙ্গ ও কঠোরভাবে পুনঃপর্যালোচনা করতে হবে।

Loading...

গত জুনেই দেশগুলোকে ‘রেস্ট্রিক্টিং দ্য এন্ট্রি অব ফরেন ন্যাশনালস টু প্রটেক্ট দ্য ইউনাইটেড স্টেটস ফ্রম ফরেন টেরোরিস্টস অ্যান্ড আদার ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড পাবলিক সেফটি থ্রেটস’ নামে তালিকাভুক্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

তালিকায় থাকা ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর বিধিনিষেধ পুরোপুরি আরোপের কথা বলা হয়েছিল। দেশগুলো হলো আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

আরো সাতটি দেশের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়া হয়। সেগুলো হলো বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনিজুয়েলা।

Loading...

নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগের পাশাপাশি ব্যবসা, ছাত্র ও পর্যটক ভিসায় এসে অতিরিক্ত সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার মতো কারণেও কোনো কোনো দেশকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

অভিবাসন নীতিকে আরো কঠোর করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রধান শহরে অতিরিক্ত অভিবাসন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।

ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন এখানে

Loading...

আরো পড়ুন

Loading...

Loading