‘নারীসঙ্গীর’ কক্ষে গুলিবিদ্ধ হন এনসিপি নেতা মোতালেব
Loading...

‘নারীসঙ্গীর’ কক্ষে গুলিবিদ্ধ হন এনসিপি নেতা মোতালেব
খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা মোতালেব শিকদারকে গুলি করার ঘটনার অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এক নারীর কক্ষে গুলিবিদ্ধ হন মোতালেব।
ওই কক্ষ থেকে মাদকের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে তাকে গুলি করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
Loading...
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সোনাডাঙ্গা থানার সার্জিক্যাল (গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) সংলগ্ন আল আকসা মসজিদ সরণির ১০৯ নম্বর রোডের মুক্তা হাউজের নিচতলায় গুলিবিদ্ধ হন মোতালেব শিকদার। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মোতালেব শিকদার এনসিপির শ্রমিক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক ও খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
Loading...
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মোতালেব শিকদারকে দু-তিনজন ধরে বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে হাঁটতে হাঁটতে আল আকসা গলি থেকে মেইন রোডের দিকে যাচ্ছেন। এসময় তিনি নিজে মাথার কাছে চেপে ধরেছিলেন।
একই সময় একটি মোটরসাইকেলে একজন ও পায়ে হেঁটে আরেকজন গলির একটি সংযোগ সড়ক দিয়ে অন্যদিকে চলে যান।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
Loading...
সন্ধ্যায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘দুপুরে পুলিশের কাছে খবর আসে এনসিপির একজন গুলিবিদ্ধ হন। তিনি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আছেন। গাজী মেডিক্যাল কলেজের পাশের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে আমাদের জানানো হয়। ভুক্তভোগীর কাছে পুলিশের দল পাঠানো হয়।
Loading...
গাজী মেডিক্যাল কলেজের পাশের একটি ফার্মেসি থেকে ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়। ওই ভিডিও ফুটেছে দেখা যায়, রবিবার রাতে ভুক্তভোগী এবং তার সঙ্গে আরও দুজন পুরুষ একটি গাড়িতে করে আসেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে নেমে গাজী মেডিক্যালের পেছন দিকের আল আকসা মসজিদের দিকে আসেন। ওই সূত্র ধরেই ঘটনাস্থল শনাক্ত করা হয়।’
পরে পুলিশ সোনাডাঙ্গা এলাকার ‘মুক্তা হাউজ’ নামের বাড়িটিকে ঘটনাস্থল হিসেবে চিহ্নিত করে। এ বিষয়ে উপকমিশনার তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মুক্তা হাউজ নামের বাড়িতে এসে দেখতে পাই, ঘটনাস্থল এখানেই। এখানে বিভিন্ন স্থানে আমরা রক্তের দাগ পেয়েছি।
Loading...
ঘরটিতে ঢোকার পর আমরা দেখতে পাই, সেখানে মাদকের ছড়াছড়ি। বিদেশি মদের বোতল, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম এবং সেখানে আমরা একটি গুলির খোসাও পেয়েছি। এসব আলামত দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে এখানে যারা ছিলেন, তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধে গুলির ঘটনাটি ঘটেছে।’
একই ধরনের তথ্য জানান সোনাডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অনিমেষ মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভুক্তভোগী আমাদের জানিয়েছিলেন, রাস্তায় মোটরসাইকেলে এসে তাকে গুলি করে চলে যায়। পরে দেখলাম যে ঘটনা ঘরের ভেতরের। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, একজন–দুজন তাকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে কারা হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেটাও আমরা খুঁজে দেখছি।’
Loading...
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গুলিটি তার বাম কানের চামড়া ভেদ করে বের হয়ে গেছে। খুলনা সিটি ইমেজিং সেন্টারে তার স্ক্যান করা হয়েছে। সেখানে গুলির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। আহত মোতালেব মিয়া এখন শঙ্কামুক্ত।’
এ বিষয়ে খুলনা সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত। মূল ঘটনা উদঘাটনে আমরা কাজ করছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন এখানে
Loading...
আরো পড়ুন
Loading...






