বাংলাদেশিদের জন্য দ্বিতীয় শ্রমবাজার এশিয়ার ইউরোপখ্যাত মালয়েশিয়ায় লাখ লাখ বাংলাদেশি কর্মী দেশটির বিভিন্ন খাতে বৈধভাবে সফলতার সঙ্গে কাজ করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে যুগ যুগ ধরে। ২০১৬ সালের পর চলতি বছরের নভেম্বরের ১২ তারিখে আবার অবৈধদের বৈধতার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
বিশেষ করে ২০১৬ সালে বাংলাদেশি এবং অন্যান্য দেশের শ্রমিক যারা প্রতারণা ও বিভিন্ন কারণে বৈধ হতে পারেননি তারা এবার বৈধ হতে পারবেন। পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রতারণা জালিয়াতি রোধে সরকার এবার বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপও নিয়েছে। শনিবার কুয়ালালামপুরে সংবাদ সম্মেলনে দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতোক সেরী খাইরুল দাযামি দাউদ বলেন, আমরা আশা প্রকাশ করছি এবারের বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় দুই থেকে আড়াই লাখ শ্রমিক বৈধ করতে পারব।
দেশে বর্তমানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবৈধ শ্রমিক হ্রাস করাই সরকারের মূল উদ্দেশ্য। বৈধকরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে খায়রুল দাজামি বলেন, এবার রিকলিব্রেশন ঘোষণার পর ইতোমধ্যেই ৪৭৮ নিয়োগদাতা কোম্পানির কাছ থেকে ২ হাজার আবেদন পেয়েছি। এটা অবিরাম চলবে ৬ মাস পর্যন্ত। এমনকি নিয়োগদাতারা চাইলে কারাবন্দি শ্রমিকদের শর্ত সাপেক্ষে বৈধকরণ করতে পারেন।
এখানে সরাসরি অনলাইনে িি.িসর.মড়া.সু আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। কোনো এজেন্ট বা দালাল নিয়োগ করা হয়নি। মালিকরা সরাসরি তাদের শ্রমিকদের নিয়োগ দেবেন তাই এখানে কোনো তৃতীয়পক্ষ নেই। তবে নিয়োগদাতারা কতজন শ্রমিক তাদের কোম্পানিতে নিয়োগ দিতে পারবেন তা শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আবেদন গৃহীত হওয়ার পর প্রথমে কর্মী নির্বাচন করে তাদের নির্ধারিত মেডিকেল সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তারপর নিয়োগকর্তারা ভিসার জন্য চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন। এ সময় যেসব ফি পরিশোধ করতে হবে তা হচ্ছে জনপ্রতি রিকলিব্রেশন ফি ১৫০০ রিঙ্গিত, লেভি কনস্ট্রাকশন ও ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের জন্য ১৮৫০ রিঙ্গিত, বৃক্ষরোপণ ও কৃষি খাতের জন্য ৬৪০ রিঙ্গিত, পাস ফি ৬০ রিঙ্গিত, ভিসা প্রসেসিং ফি ১২৫ রিঙ্গিত এবং জাতিভেদে আরও ২০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত পরিশোধ করতে হবে। যদি কোনো শ্রমিক এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হন তাহলে তাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে তাদের দেশে ফেরত যাওয়ার বিমান টিকেটসহ ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৫ দেশের দূতাবাস প্রধানদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি আমরা। তারা আমাদের এই রিকলিব্রেশন প্রকল্পকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহযোগিতা করার কথা ব্যক্ত করা হয়েছে। এই শ্রমিক বৈধকরণ কার্যক্রম ২০২১ সালের ২০ জুন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে।
গালফবাংলায় প্রকাশিত যে কোনো খবর কপি করা অনৈতিক কাজ। এটি করা থেকে বিরত থাকুন। গালফবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন।
খবর বা বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: editorgulfbangla@gmail.com