প্রবাসীদের জন্য বিমানবন্দরে ভিআইপি সেবা চালু হচ্ছে
Loading...
প্রবাসী কর্মীরা কি বিমানবন্দরে ‘ভিআইপি সেবা’ পাচ্ছেন?
প্রবাসী কর্মীরা বিমানবন্দরে ভিআইপি সেবা পাবেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, এক মাসের মধ্যে বিমানবন্দরে এ সেবা চালু হবে।
প্রথম ধাপে মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে আসা প্রবাসীরা এ সুবিধা পাবেন। লাউঞ্জ ও বিশেষ ইমিগ্রেশন ডেস্ক ছাড়া ভিআইপিদের বাকি সব সুবিধা পাবেন প্রবাসীরা।
Loading...
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, সৃষ্ট জট খুলতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রভাব কাজে লাগানো হবে।
কাতারের সব আপডেট পেতে জয়েন করুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে
আগামী দুই মাসের মধ্যে শ্রমবাজার সম্প্রসারণের নতুন খবর দেওয়া হবে। কর্মীদের নতুন কর্মসংস্থান হবে ইতালি অথবা চীনে।
অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা জানান, এখন থেকে ১২টি বেসরকারি ব্যাংক প্রবাসীদের ঋণ দিতে রাজি হয়েছে। সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকের দুর্গম অঞ্চলের শাখায়ও প্রবাসী কল্যাণের বুথ থাকবে। রেমিট্যান্স পাঠিয়ে ঋণের কিস্তি শোধ করতে পারবেন।
Loading...
রেমিট্যান্স পাঠানো সহজতর করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, প্রবাসীরা টাকা পাঠালে মানি এক্সচেঞ্জ হাউসের সব খরচ ব্যাংকগুলো পরিশোধ করবে।
তিনি জানান, বিদেশে কর্মী পাঠাতে সময়ক্ষেপণ কমাতে মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ অনুমতি আর লাগবে না। এখন থেকে শুধু বিএমইটি ও দূতাবাস থেকে অনুমোদন নিলেই হবে। ফলে সময় বাঁচবে ৩০ দিন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সমর্থন করায় যেসব প্রবাসী বিদেশে বিপদে পড়েছেন, তাদের সম্ভব হলে অন্য কোনো দেশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে দেখুন চাকরির খবর
মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৭ হাজার কর্মীর টাকা ফেরতের বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেছেন, রিক্রুটিং এজেন্সিকে সব টাকা ফেরত দিতে হবে। মাত্র ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে টাকা ফেরত পেয়েছেন কর্মীরা। সিন্ডিকেট বা যে কোনো দুর্নীতির ব্যাপারেই তদন্ত হবে।
Loading...
উপদেষ্টা জানান, ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ আর থাকবে না। এখন থেকে প্রবাসীরা যে কোনো পরিমাণ বন্ড কিনতে পারবেন।বিষয়টিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনেক প্রবাসী ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
Loading...
প্রবাসী কামাল হোসাইন খান সুমন বলেন, আমিরাতে মিছিল-সমাবেশের অনুমতি নেই। তবুও কিছু প্রবাসী দেশে সংঘটিত গণহত্যার বিরুদ্ধে ও ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন। পরে সরকারের হস্তক্ষেপে তারা মুক্তি পান। তাদের পাশে দাঁড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত ইতিবাচক।
দুবাই ইলেকট্রিসিটি অ্যান্ড ওয়াটার অথরিটির প্রকৌশলী মুহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ভালো উদ্যোগ। জনগণের মুক্তির জন্য প্রবাসে থেকেও তারা ভূমিকা রেখেছেন।
Loading...